নিজস্ব প্রতিবেদক »
বাংলাদেশ-ভারত উন্নয়নের ক্ষেত্রে একসাথে এগিয়ে যাবে। দুর্দিনে যে দেশ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বর্তমানে আমাদের উন্নয়নেও পাশে থাকবে ভারত। গতকাল ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘একসাথে সবার উন্নতি’ শীর্ষক বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে চট্টগ্রামের পাঁচতারকা হোটেল র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ তে অনুষ্ঠিত সভায় একথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপো রেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ভারত বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে সবার আগে ভারতের কথাই আসবে। শুধু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবেই নয়, অনেক ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের বসবাস ভারতে। সাহিত্য, সংস্কৃতি, উন্নয়ন কিংবা সিনেমা তথা সবকিছুতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে ভারত।
তিনি আরো বলেন, ভারত আমাদের দুর্দিনে যেমন বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল তেমনি আমাদের দেশের উন্নয়নে তারা পাশে থাকবে। দুটি দেশ পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে উন্নতির শিখরে উঠবে। বিশ্ব তাকিয়ে দেখবে বন্ধুত্বের নিদর্শন।
সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার বলেন, ভারতজুড়ে এখন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। যাতায়াত ব্যবস্থা এবং আইটি ক্ষেত্রে তারা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমরাও তাদের পাশে থেকে একইসাথে এগিয়ে যাবো।
ভারতীয় হাই কমিশনের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অনেক সেনা নিহত হয়েছেন। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট রয়েছে। এ সম্পর্ক দিন দিন আরো জোরালো হচ্ছে। বাংলাদেশের সব ধরনের উন্নয়নে ভারত পাশে থাকতে চায়।
রুনা ব্যনার্জির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাইডার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ জ্ঞানেশ ত্রিপাটি, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী সুব্রত বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন রাশেদ হাসান।
উন্নয়নে একসাথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ-ভারত
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের সভা