আজিজুল কদির :
ঈদের ছুটিতে সবারই মন চায় পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটি উপভোগ করতে। মন চায় বিনোদনের। এমনই একটি বিনোদন কেন্দ্র হচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। এটি শুধু শিশুদের নয়, সবার প্রিয় জায়গা।
অথচ করোনা মহামারির কারণে গত চারমাস ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রাণিদেহে সংক্রমণের আশঙ্কায় এই ঈদেও খুলছে না চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ সুপ্রভাতকে জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে দেশের চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানা হলো বিনোদনের অন্যতম জায়গা। বিশেষ করে শিশুদের কাছে এটি অত্যন্ত প্রিয় বিনোদন কেন্দ্র। যা গত ১৯ মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। দেশের এই অবস্থায় স্বাস্থ্য বিধি মেনেও চিড়িয়াখানা খোলার চিন্তা নেই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। কারণ হিসেবে তিনি আরো বলেন, অনেক দেশে সিংহ এবং বাঘ করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তাছাড়া সংক্রমিত কেউ চিড়িয়াখানায় এলে তা মাধ্যমে প্রাণিদেহেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই রোগ। এছাড়া জনসমাগমের কারণে নিজেদের নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে কোরবানির ঈদেও চিড়িয়াখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আকস্মিক তাপদাহ ও করোনা থেকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বাঘ, সিংহ, জেব্রা, গয়াল, ভালুকসহ বড় বড় প্রাণীদের অতিরিক্ত সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
প্রচ- গরমের কারণে বেশি আক্রান্ত হয় মাংসভোজী প্রাণীরা। এমনকি পাখিদের মধ্যেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিড়িয়াখানার প্রাণীদের এ দাবদাহ থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, গরম থেকে প্রাণিদের রক্ষায় প্রতিটি শেডে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ওষুধ, স্যালাইন ও ভিটামিন সরবরাহ, যতটা সম্ভব আর্দ্র খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
চিড়িয়াখানা কখন খুলে দেয়া হবে এক প্রশ্নে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন সুপ্রভাতকে জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এখনো কোন নির্দেশনা পাইনি, তাই এখনো খোলার সিদ্ধান্ত নেই। অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ, তাই সবদিক বিবেচনা করে আমরা বন্ধ রেখেছি। তবে এরই মধ্যে টানা বন্ধ পাওয়াতে চিড়িয়াখানাকে বেশ সাজানো গোছানো করা হয়েছে।
মো. রুহুল আমিন আরো জানান, বর্তমানে এই চিড়িয়াখানায় ৬৬ প্রজাতির সাড়ে ৬২০টি প্রাণী আছে যার মধ্যে ২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৭ প্রজাতির পাখি ও ৪ প্রজাতির সরীসৃপ।