সুপ্রভাত ডেস্ক রিপোর্ট »
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কৌশলগত জোট ‘কোয়াড’-এর অংশ ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ)-এ যোগ দেবে কি না সেটা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-কে (বিআইআইএসএস) দায়িত্ব দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চতুর্পাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপ বা কোয়াড হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান, ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার একটি কৌশলগত নিরাপত্তামূলক আলোচনা। যুক্তরাষ্ট্র ও এর ১৩টি সহযোগী দেশ আইপিইএফকে ‘নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা’ হিসেবে উল্লেখ করছে।
গত বছরের ২৮ থেকে ২৯ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত যৌথভাবে ভার্চুয়ালি চতুর্থ বার্ষিক ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামের (আইপিবিএফ) আয়োজন করে।
এ বছরের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আইপিইএফ বিষয়ে অবহিত করে এবং বাংলাদেশ এ ফ্রেমওয়ার্কের ‘সাপ্লাই চেইন রেসিলিয়েন্স’ ও ‘ডিকার্বনাইজেশন’ বিষয়ে আরও তথ্যকে স্বাগত জানায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ)-এ যোগদান করা লাভজনক হবে কিনা তা স্থির করতে বাংলাদেশ এটির ‘সুবিধা-অসুবিধাগুলো’ বিবেচনা করে দেখছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকায় ‘বিআইআইএসএস রিসার্চ কলোকিয়াম ২০২২’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
‘সম্প্রতি কোয়াড ও ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক (ফ্রেমওয়ার্ক) নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। বিষয়টি বোঝার জন্য আমরা বিআইআইএসএস-কে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছি। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এ বিষয়ে তারা ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে,’ মোমেন বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএস-এর চেয়ারম্যান অ্যাম্বাস্যাডর কাজি ইমতিয়াজ হোসেন ও সংস্থাটির ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন।
তিনটি সেশনে বিভক্ত এ অনুষ্ঠানের প্রতি সেশনে একজন করে গবেষক বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ নিয়ে করা তাদের গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আউটরিচ বিষয়ক প্রথম সেশনের সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএস-এর চেয়ারম্যান।
নিরাপত্তা ও কৌশলগত বিষয়ের দ্বিতীয় সেশনের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক চিফ অফ স্টাফ জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল মুবীন।
অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হওয়া তৃতীয় সেশনে ‘কূটনীতি ও আলোচনা’ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
বিআইআইএসএস হলো একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠান যা আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা ও আলোচনার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত।
সূত্র : টিবিএস, ডেইলি স্টার ও ইউএনবি