সুপ্রভাত ডেস্ক »
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বহুল প্রত্যাশিত বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি দেশবাসীকে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য আপনারা জানতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু এবং মুজিব সম্পর্কে। সবচেয়ে বড় কথা আমার মা, আমার দাদা-দাদীসহ আমার পরিবারের কথা জানতে পারবেন। কাজেই আমি আশা করি সবাই এই ছবিতে ইতিহাসের নতুন অধ্যায় আপনারা দেখতে পারবেন। খবর সারাবাংলার।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শুভমুক্তি ঘোষণা পর এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস কথা বলে। ইতিহাসকে কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারে না, সেটাই প্রমাণিত সত্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনার ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি একটি জীবনভিত্তিক ছবি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বেড়ে ওঠা এবং একটি দেশের স্বাধীনতা অর্জনের উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
চলচ্চিত্রটির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি করোনা অতিমারির বাঁধা অতিক্রম করে সিনেমাটির কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সব কলাকৌশলীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সারা দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। দেশবাসীর কাছে আমার আহ্বান থাকবে ছবিটি দেখার জন্য। এই সিনেমার মাধ্যমে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য আপনারা জানতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু মুজিব সম্পর্কে, তাঁর জীবন জানতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা আমার মা আমার দাদা-দাদীসহ আমার পরিবারের কথা জানতে পারবেন। কাজেই আশা করি সকলে এই ছবিটা দেখে ইতিহাসের নতুন অধ্যায় আপনারা দেখতে পারবেন।
‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটির মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব চির অটুট থাকুক বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। ২০১৯ সালে সিনেমাটির কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শেষে চলতি বছরের ৩১ জুলাই সিনেমাটি বাংলাদেশে আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পায়।
সিনেমাটি আজ (শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর) সারা দেশে ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটির পরিচালক ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
এ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে আছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, আর তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ আহমেদ।
এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ ও মিশা সওদাগরসহ শতাধিক অভিনয় শিল্পী।
২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে মুম্বাইয়ের দাদা সাহেব ফালকে স্টুডিওতে সিনেমার প্রথম ধাপের শুটিং শুরু হয়। সিনেমাটিতে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন দয়াল নিহালানি। চিত্রনাট্য লিখেছেন অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি। শিল্প নির্দেশনার দায়িত্বে রয়েছেন নীতিশ রায়। কস্টিউম ডিরেক্টর হিসেবে আছেন শ্যাম বেনেগালের মেয়ে পিয়া বেনেগাল।
সিনেমাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন এবং বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দানসহ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।