সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
হাঁটুর ইনজুরি যে এতটা ভোগাবে, স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি পেসার এবাদত হোসেন। এমনকি বাংলাদেশ দলের কর্মকর্তারাও এতটা ভাবেননি হয়তো। কিন্তু বুধবার লন্ডনে হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করার পর জানা গেলো, এবাদত হোসেনের প্রকৃত অবস্থা। অন্তত ৮ মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েছেন এই পেসার।
অস্ত্রোপচার করার সময়ই জানা গিয়েছিলো, ভারতে অনুষ্ঠিতব্য আগামী বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না এই ডানহাতি পেসার। এরপর জানা গেলো, শুধু বিশ্বকাপই নয়, আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসের আগে হয়তো মাঠে নামা হবে না আর তার।
সংবাদ মাধ্যমের খবর, এশিয়া কাপ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া বাংলাদেশ দলের কর্মকর্তা এবং বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস এবাদতের খবর শুনে আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল!’
বিসিবির চিকিৎসক দলের কাছ থেকে জালাল ইউনুস জেনেছেন, ‘অপারেশন হয়েছে। এখন এবাদতকে অন্তত আট সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন সার্জন। এরপর পুনর্বাসন।’
সুস্থ হতে আট সপ্তাহ তথা প্রায় দুই মাস সময় লাগবে এবাদতের। এরপর পুনর্বাসন। এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়াটাই কঠিন। লম্বা সময় ধরে চলবে। সব মিলিয়ে মাঠে ফেরার প্রস্তুতির সময় যোগফল ভেবে ভীষণ হতাশ বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান, ‘আট-নয় মাস লাগতে পারে। বিশ্রামের পর দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া আছে। এরপর মাঠে ফেরার প্রস্তুতি। ওকে (এবাদত) অনেক মিস করব। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।’
এবাদত হোসেন বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না, সেটাই নয় শুধু, পূনরায় সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর আগের সেই গতিতে আগুনের গোল ছুঁড়তে পারবেন কি না তিনি, সেটা ভেবেও চিন্তিত বিসিবির কর্মকর্তারা। গত এক বছরে বাংলাদেশ দলের দুই সফলতম বোলারের একজন এবাদত হোসেন। গত ১২ মাসে সর্বোচ্চ ২০টি করে উইকেট তার ও সাকিব আল হাসানের। পরিসংখ্যানের চেয়েও এবাদতের ‘ইমপ্যাক্ট’কেই সম্ভবত বেশি মিস করবে বাংলাদেশ দল। গতি বিবেচনায় পুরোদস্তুর ফাস্ট বোলার এবাদত। বিশেষ বিশেষ দলের বিরুদ্ধে তাই তাকে তুরুপের তাস মনে করে বাংলাদেশ দল। আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেই এবাদতকেই পাবে না বাংলাদেশ। শুধু এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপই নয়, ঘরের মাঠে এবং বিদেশের মাঠে অনেকগুলো সিরিজ খেলতে পারবেন না এবাদত। এশিয়া কাপের পরই বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে নিউজিল্যান্ডের। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। এফটিপি অনুযায়ী আগামী বছর শুরুতেও বেশ ব্যস্ত সূচি রয়েছে বাংলাদেশের। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করার কথা রয়েছে টাইগার ক্রিকেট দলের। এরপর ফেব্রুয়ারি-মার্চে রয়েছে শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ সফর। এপ্রিলে রয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর। আপাতত সে পর্যন্ত পেসার এবাদত হোসেনকে মিস করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। খবর জাগোনিউজ’র