আজ খুলছে সবই

পর্যটন, বিনোদনকেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে, স্বাস্থ্যবিধি মানানো ও গণটিকায় জোর

নিজস্ব প্রতিবেদক »

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ ১৯ দিন বিধিনিষেধের পর আজ থেকে শর্তসাপেক্ষে খুলছে সকল প্রতিষ্ঠান, চলবে গণপরিবহন। তবে তবে বন্ধ থাকবে সব ধরনের পর্যটন, বিনোদনকেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস্ক ছাড়া কোন অবস্থাতেই বাইরে যাওয়া যাবে না।
এবার সর্বোচ্চ মৃত্যু ও সংক্রমণের মধ্যেই সব কিছু খুলছে। এক্ষেত্রে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানানো ও গণটিকা জোর দিচ্ছে সরকার।
দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে গত ৮ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন বা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।

শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা যাবে। আদালতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। তবে সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মার্কেট ও দোকান মালিকরা বলছেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে খোলা রাখা হবে সকল দোকান। টেরিবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে টেরিবাজারের সকল দোকান খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে। প্রতি দোকানে রাখতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম।’
যাত্রীদের ভাড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে নিজেদের সচেতন হতে হবে বলে জানালেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, ‘পূর্বের ভাড়ায় পরিবহন চলাচল করলে এক্ষেত্রে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানা অতীব জরুরি। যাত্রীর ভাড়া নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা হবে। যদি তা করা না হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে দেখবেন। আশা করি নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নেবে না পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।’