আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক »
মিসরের বর্তমান গ্রান্ড ইমাম ইমামুল আকবর শাইখুল আযহারের প্রস্তাবে ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে দ্যা ওয়ার্ল্ড অরগানাইজেশন ফর আল আযহার গ্র্যাজুয়েটস এর বাংলাদেশ শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
গতকাল রোববার দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এস রহমান হলে বাংলাদেশি আল আযহারী অ্যালামনাই সংগঠনের শুভযাত্রা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
আলহাজ সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সংস্থাটির জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ জালাল উদ্দিন আযহারী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে তিনি আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য, আকিদা-মানহাজ, মিশন ও ভিশন তুলে ধরেন। পাশাপাশি আজহারী গ্র্যাজুয়েটসদের উল্লিখিত সংগঠনের নানাবিধ কার্যক্রম, বাংলাদেশে এর শুভযাত্রার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।’
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে বাংলাদেশের প্রথিতযশা সুফি ব্যক্তিত্ব ও একুশে পদকপ্রাপ্ত পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিশর সফরকালীন বর্তমান গ্রান্ড ইমাম, ইমামুল আকবর শাইখুল আযহারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হলে তিনি সুফি মিজানকে সংস্থাটির বাংলাদেশ শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত আযহারীদের একান্ত অনুরোধে প্রস্তাবটি সাদরে গ্রহণ করেন সুফি মিজানুর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় শাইখুল আযহারের সম্মতিতে দ্যা ওয়ার্ল্ড অরগানাইজেশন ফর আল আযহার গ্র্যাজুয়েটস মেইন ব্রাঞ্চ থেকে আল আযহারের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি ও বিভাগের প্রফেসর, সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত ১৫ জনের টিম বাংলাদেশ সফর আসেন এবং আন্তর্জাতিক শোহাদায়ে কারবালা মাহফিল ও ঐতিহ্যবাহী জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া কামিল মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন। তাছাড়া কনফারেন্স হলে দেশের নেতৃস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখ ও আযহারীদের মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পিএইচপি ফ্যামিলি হল রুমে সুফি মিজানুর রহমানকে সভাপতি করে বাংলাদেশের একঝাঁক আযহারী গ্র্যাজুয়েটদের নিয়ে আমন্ত্রিত ডেলিগেটদের উপস্থিতিতে সংস্থাটির বাংলাদেশ শাখার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংস্থার প্রেসিডেন্ট সুফি মিজানুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে ও অন্য সদস্যদের প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের ২৭ অক্টেবর বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এবং চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আযহার ও মিশর সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক অফিসিয়াল অনুমোদন লাভ করেন।’
অনুষ্ঠানে নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করেন আলহাজ সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সমাপনী বক্তব্যে তিনি সংস্থাটির বাংলাদেশ শাখার তরিকত তাসাউফ ও মধ্যমপন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আল-আযহারের অবদান ও কার্যক্রম তুলে ধরেন। এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে পাঁচশতাধিক আযহারী অ্যালামনাই রয়েছেন। তাছাড়া বর্তমানে দেড়শো শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছেন। মিশরজুড়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চাশটি ক্যাম্পাস রয়েছে। এতে আধুনিক সাবজেক্টগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
এতে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, দ্যা ওয়ার্ল্ড অরগানাইজেশন ফর আল আযহার গ্র্যাজুয়েটস এর বাংলাদেশ শাখার সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম মোহাম্মদ শায়েস্তা খান আযহারি, সোস্যাল অ্যান্ড ওয়েলফার সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুদ্দীন খালেদ আযহারী, নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা কামাল উদ্দীন আযহারী, স্টান্ডার্ড ব্যাংক পাড়তলী শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা মাওলানা মাসুম কামাল আযহারী, জেলা মডেল মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবু আহমদ আযহারী, মিজানুস সালাম রিচার্স সেন্টারের সিনিয়র গবেষক মাওলানা মুহাম্মদ হোসাইন প্রমুখ।