সুপ্রভাত ডেস্ক »
তীব্র সংঘর্ষের পর মিয়ানমারের থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী মায়াবতী শহরের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে বাধ্য হলো হাজারো জান্তা সেনা। আরও সহিংসতার আশঙ্কায় দেশ ছাড়তে প্রতিবেশি থাইল্যান্ডের সীমান্তে ভিড় করছে মায়াবতীর বাসিন্দারাও। সীমান্ত বাণিজ্যের কারণে মায়াবতী অর্থনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা।
মিয়ানমারের সঙ্গে থাইল্যান্ডের সীমান্ত ২৪শ’ কিলোমিটার দীর্ঘ। সেনাবাহিনী আর বিদ্রোহীদের সংঘাতে বাস্তুচ্যুত এক লাখ মানুষকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ব্যাংকক।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সম্প্রতি দিনে প্রায় চার হাজার মানুষ মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে থাই ভূখণ্ডে প্রবেশ করছে। স্বাভাবিক সময়ে দিনে মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ডে যেতো গড়ে ১৯শ’ মানুষ, যা বর্তমানে দ্বিগুণের বেশি। বৃহস্পতিবারও থাইল্যান্ডের মায়ে সত শহরের অভিবাসী চেকপয়েন্টে অপেক্ষা করতে দেখা যায় কয়েক হাজার মানুষকে।
থাই সীমান্ত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, কয়েকদিনের তীব্র সংঘর্ষের পর গেল বুধবার রাতে মিয়ানমারের থাই সীমান্তবর্তী মায়াবতী শহরের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে বাধ্য হয় হাজারো জান্তা সেনা। মায়াবতীর সঙ্গে থাইল্যান্ডের মায়ে সত শহরকে যুক্ত করা থাই-মিয়ানমার ফ্রেন্ডশীপ ব্রিজ থেকে সরে যায় ২শ’র বেশি সেনা। সহিংসতা আরও বাড়ার শঙ্কায় দেশ ছাড়তে প্রতিবেশি থাইল্যান্ডের সীমান্তে ভিড় করতে শুরু করে মায়াবতীর বাসিন্দারা।
বাসিন্দারা বলেন, ‘মায়াবতীর পরিস্থিতি এখন ঠিকঠাকই লাগছে। কিন্তু আরও ভেতরের দিকে গেলে সারাক্ষণই গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।’
থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের এ সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্রটি অর্থনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তারল্য সংকটে জর্জরিত সেনাবাহিনীর জন্য। এপ্রিল পর্যন্ত এক বছরে মায়াবতী হয়ে ১১০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে বলে জানায় মিয়ানমারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গেল বছরের অক্টোবর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘবদ্ধ আক্রমণে নাকাল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ পর্যন্ত দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর পৌনে ২শ’ ঘাঁটি ও শহরের দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা।
সূত্র : ইরাবতী