নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও নেবুলাইজারের দাম বৃদ্ধি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। একটি চক্র বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সিলিন্ডার প্রতি লাভ করেছে প্রায় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং মিটার প্রতি লাভ করেছে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
সোমবার (৮ জুন) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পৃথকভাবে নগরীর আন্দরকিল্লা, সদরঘাট ও প্রবর্তক মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক। অভিযানে নগরীর সদরঘাটের মেসার্স ব্রাদার্স প্রকৌশলী ওয়ার্ক নামের একটি দোকানকে ১ লক্ষ টাকা, চমেক হাসপাতালের পূর্ব গেইটে সাহান মেডিকোকে ১ লক্ষ টাকা ও অন্য দোকানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক সুপ্রভাতকে বলেন, করোনার সুযোগে একটি চক্র সাধারণ মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে অতিপ্রয়োজনীয় অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ চিকিৎসা সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও দাম বৃদ্ধি করে ক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। অভিযানে সদরঘাটের মেসার্স ব্রাদার্স প্রকৌশলী ওয়ার্ক নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানের মালিক দিলীপ কুমার কোন ধরনের ইনভয়েস ও ব্যবসা সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। নিজেদের মতো বিক্রি করে আসছে সিলিন্ডার ও মিটারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি। সিলিন্ডার প্রতি লাভ করেছে প্রায় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং মিটার প্রতি লাভ করেছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার সুপ্রভাতকে বলেন, এই সংকটের সময় অক্সিজেন সিলিন্ডারের কৃত্রিম সংকট ও পাল্স এক্সিলেটরের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে বিভিন্ন সাইজের অক্সিজেন সিলিন্ডার স্ট্যান্ড ও রেগুলেটরসহ ২৫ থেকে ৩০ হাজার এর বেশি বিক্রির কথা বিক্রেতা স্বীকার করেন। এসময় দুই মামলায় মেডিকেলের (চমেক) পূর্ব গেইটে সাহান মেডিকোকে ১ লক্ষ টাকা ও অন্য একটি দোকানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।