গোলযোগের আশংকা
নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া :
চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে আজ রোববার পটিয়া পৌরসভা নির্বাচন। ইভিএম এর মাধ্যমে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। এ নির্বাচনে ব্যাপক গোলযোগের আশংকা রয়েছে। কেন্দ্র দখল ও আধিপত্য নিয়ে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির সম্ভাবনা রয়েছে।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া সরাকরি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাহুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র ও গুয়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণ গোবিন্দারখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর গোবিন্দারখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা রয়েছে। কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী নিজেরাই সংঘর্ষের আশংকা করছেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবু ছৈয়দ স্থানীয় সাংবাদিকদের ডেকে আশংকার কথা ব্যক্ত করেছেন। তবে নির্বাচনে গোলযোগের আশংকা মোকাবেলা করতে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ব্যাটেলিয়নের পাশাপাশি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্বে থাকবেন।
পটিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১৮টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৮৭। তার মধ্যে মহিলা ১৮ হাজার ৮৬২ ও পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯২৫।
মেয়র পদে লড়ছেন চার প্রার্থী। তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আইয়ুব বাবুল (নৌকা), জাতীয় পার্টির শামসুল আলম মাস্টার (লাঙ্গল), বিএনপির নুরুল ইসলাম সওদাগর (ধানের শীষ) ও ইসলামী ফ্রন্টের এম আলী হোছাইন (মোমবাতি)।
২০১৬ সালের পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পশ্চিম পটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর গোবিন্দারখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক মারামারির ঘটনা ঘটে। এবারও এসব ভোটকেন্দ্রে গোলযোগের আশংকা রয়েছে। কোন কোন প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শুক্রবার রাতে লাঠিসোটাসহ অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করেছে। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আইয়ুব বাবুল পটিয়া পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
নৌকার পক্ষে আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সর্বস্তরের মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজ নিজ ভোট প্রয়োগ করতে পারে প্রশাসন সে ব্যবস্থা নিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিকুর রহমান জানিয়েছেন, ইভিএমের মাধ্যমে পটিয়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রশাসনের লোকজন ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন। তার মধ্যে পুলিশ সদস্য ২২০ জন, বিজিবি ৪০জন, র্যাব ২৭ জন, ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০টি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।