ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে আরেক মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারের পর ৮ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ভাই নিহতের ঘটনায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। একই মামলায় আরও চার পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই সহোদর হলেন আমানুল হক হারুন ও আজাদুল হক আজাদ। তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এলাকার আমিনুল হকের ছেলে।
বুধবার চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার রুমীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন নিহত দুই ভাইয়ের বোন রিনাত সুলতানা শাহীন। আদালত মামলা গ্রহণ করে চট্টগ্রামের আনোয়ারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অভিযোগ তদন্ত করে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদির আইনজীবী এ এম জিয়া হাবীব আহসান। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, একই থানার এসআই ইফতেখারুল ইসলাম, কনস্টেবল মাজাহারুল ইসলাম, দ্বীন ইসলাম, এবং আমজাদ হোসেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
রিনাত সুলতানা শাহীন জানান, তার বড় ভাই আমানুল হকের মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান ছিল। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরুর পর দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি পেয়ারার চাষ শুরু করেন। ছোট ভাই আজাদ বিদেশে থাকতেন। গত রমজানের সময় তিনি দেশে ফেরেন। গত ১৩ জুলাই রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমানুলকে এবং ১৫ জুলাই দুপুর ২টার দিকে আজাদকে চন্দনাইশ থানা পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে টেকনাফ থানা পুলিশ।
রিনাত সুলতানা শাহীন সুপ্রভাতকে জানান, গ্রেফতারের পর পুলিশ জানান আমার দুই ভাই নাকি মাদক ব্যবসা করেন। তাদের ছাড়াতে হলে ৮ লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা দিতে না পারায় আমার দুই ভাইকে মাদক ব্যবসায়ী উল্লেখ করে টেকনাফ থানা পুলিশ ক্রসফায়ারে হত্যা করে। গত ১৬ জুলাই কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দুই ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করি।’