সুপ্রভাত ডেস্ক »
জাতীয় নির্বাচন, আন্দোলনের প্রস্তুতিসহ নানা কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ৭ বছর পর বর্ধিত সভা করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০টায় এই বর্ধিত সভা শুরু হবে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করবেন। উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্বে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
বর্ধিত সভাকে দলের ছায়া কাউন্সিল হিসেবেও দেখছেন অনেকে। চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপি’র এই বর্ধিত সভা মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মনে করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
বর্ধিত সভা উপলক্ষে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটি এবং ছয়টি উপ-কমিটি (ব্যবস্থাপনা, অভ্যর্থনা, আপ্যায়ন, শৃঙ্খলা, মিডিয়া ও চিকিৎসা সেবা কমিটি) গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উৎসাহ আর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তার।
সভায় অংশ নেবেন নির্বাহী কমিটির সদস্য ছাড়াও দলের উপজেলা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও। প্রায় ৪ হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে এই সভা থেকে আগামী নির্বাচন, আন্দোলনের প্রস্তুতিসহ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারিত হবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, এবারের সভায় মূলত কয়েকটি ইস্যু গুরুত্ব পাবে। এগুলো হলো— ৫ আগস্টের পর দেশের চলমান পরিস্থিতি, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মিত্র দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখা। নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির এ বর্ধিত সভাকে ‘খুবই সময়োপযোগী’ বলে মনে করেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
সবশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপির বর্ধিত সভা ডেকেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর চার দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাজায় কারাগারে যান। গ্রেফতার আতঙ্কে তাড়াহুড়ো করে সীমিত পরিসরে সেটি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, ২০১৬ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির কাউন্সিল।