নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »
কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী নোহা মাইক্রোবাস পুকুরে উল্টে পড়ে ঘটনাস্থলে নারী ও শিশুসহ সাতজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া পৌরসভার পুকপুকুরিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইছমাইলের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫৫), ডুলহাজারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাম মাস্টার ছেলে রতন বিজয় চৌধুরী (৫০), রতন বিজয়ের স্ত্রী মধুমিতা চৌধুরী (৪৫) ও বাঁশখালী উপজেলা সাধনপুর এলাকার প্রদীপ রুন্দ্রের স্ত্রী পূর্ণিমা রুদ্র (৩০), প্রদীপ রুন্দ্রের ছেলে সার্থক রুন্দ্র (৩) ও প্রদীপ রুন্দ্রের মা রানী রুন্দ্র (৬০)। তবে নিহত এক নারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
আহতরা হলেন বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুরের প্রদীপ রুদ্র (৩৫), তার মেয়ে শ্যামলী রুন্দ্র (৭) ও বাবর আলী (১৮)। তারা বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাইওয়ে পুলিশ ও আশপাশের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকালে কক্সবাজার থেকে একটি যাত্রীবাহী নোহা মাইক্রোবাস চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। মাইক্রোবাসটি সকাল দশটার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার পুকপুকুরিয়া এলাকা পৌঁছলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে এক পথচারী নারী ও শিশুসহ সাতজন নিহত হয়। এসময় আহত হয় আরো তিনজন। আহতরা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চকরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত প্রদীপ রুদ্র বলেন, আমার মা-স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রোগী এক আত্মীয়কে দেখতে কক্সবাজার থেকে মাইক্রোবাসে করে বাশঁখালীর কালিপুর যাচ্ছিলাম। আমাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি চকরিয়ায় পৌঁছলে চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে পুকুরে উল্টে পড়ে। এ সময় আমার মা, স্ত্রী সন্তান মারা যায়। আমি আর আমার মেয়ে কোনো রকম গাড়ি থেকে বের হয়ে প্রাণে বাঁচি।
উপজেলার মহাসড়কের চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিহতদের মধ্যে ছয়জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর একজন নারীর মরদেহ পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় এখনো পুলিশ ফাঁড়িতে আছে।
৭ জনের প্রাণহানি
চকরিয়ায় মাইক্রোবাস উল্টে পুকুরে