সুপ্রভাত ডেস্ক »
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে প্রায় ৬ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হবে। যা আগামী ডিসেম্বরের আগেই বেশ কয়েকটি চালানে দেশে আসবে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, কোভ্যাক্স কী পরিমাণ টিকা দেবে, কয়টি চালানে কোন দেশের টিকা আসবে তার একটা হিসেব বাংলাদেশ সরকারকে চিঠিতে জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যেই ছয় কোটি ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ।
দরিদ্র দেশগুলোতে টিকাদান নিশ্চিতের বৈশ্বিক জোট গ্যাভির ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোভ্যাক্স থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পেয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার টিকা। তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানা থেকে এসেছে ৫৫ লাখ টিকা, ফাইজার থেকে এসেছে ১ লাখ টিকা এবং চীনের সিনোফার্ম থেকে এসেছে আরও ৩৪ লাখ ৭১ হাজার টিকা। এছাড়াও ১৬ লাখ টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে জাপান। সব মিলিয়ে কোভ্যাক্স থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পেয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার টিকা।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এই ছয় কোটি ডোজ টিকা পাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। পরে কোভ্যাক্স থেকে টিকা নিতে চাইলে সরকারকে আর্থিক মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, টিকা নিতে দেশে এ পর্যন্ত আবেদন করেছেন তিন কোটিরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা এসেছে দুই কোটি ৯০ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশের ১৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে, এজন্য প্রয়োজন ২৬ কোটি টিকা।
ভারত রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার পর টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে ৩টি নতুন উৎস উন্মোচন হয়েছে। বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স, চীন ও রাশিয়া।
বৈশ্বিক জোট গ্যাভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, কোভ্যাক্স ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন দেশকে ১৯০ কোটি টিকা বিতরণ করতে চায়, এর মধ্যে বাংলাদেশ পাবে ৬ কোটি টিকা।
কোভ্যাক্স এখন পর্যন্ত ১১টি টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে। এগুলোর মধ্যে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিনোফার্মের টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া চীনের সিনোভ্যাকের টিকাও কোভ্যাক্সের আওতায় পাওয়া যাবে।