নিজস্ব প্রতিবেদক »
ঈদকে ঘিরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারীরা। তাদের অধিকাংশই নগরীর বিভিন্ন স্থানে গজিয়ে উঠা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।
র্যাব অভিযান চালিয়ে চার থানার ছয় কিশোর গ্যাংয়ের ৩৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ।
বুধবার দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নগরের পাঁচলাইশ, বায়েজিদ, পাহাড়তলী ও ডবলমুরিং থানার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানের বিষয়টি বৃহস্পতিবার দুপুরে নিশ্চিত করে র্যাব।
এসময় পাঁচলাইশ থানাধীন ফরেস্টগেট রেল ক্রসিং এলাকার ‘রুবেল গ্রুপ’ এর প্রধান রুবেলসহ ৬ জনকে অস্ত্রসস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। তাছাড়া পৃথক অভিযানে একই থানাধীন মোহাম্মদপুর এয়ার বিল টাওয়ার এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাই প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ‘বাচা গ্রুপ’ নামক কিশোর গ্যাং এর গ্রুপ প্রধান বাচা মিয়া প্রকাশ বাচা সোহেল এর নেতৃত্বে ছিনতাই এবং ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। অন্যদিকে বায়েজিদ বোস্তামি থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকা থেকে ‘জনি গ্রুপ’ নামক কিশোর গ্যাং ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেন। পাহাড়তলী থানাধীন ১২ কোয়ার্টার এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাং ‘সাজ্জাদ গ্রুপ’ এর সক্রিয় ৭ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই থানাধীন সরাইপাড়া এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাং ‘সাকিব গ্রুপ’ এর গ্রুপ প্রধানসহ সক্রিয় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আরেক অভিযানে ডবলমুরিং থানাধীন পাহাড়তলী সরাইপাড়া এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ‘বিপুর গ্রুপ’ এর প্রধানসহ ৪ জনকেসহ মোট ৩৩ জন গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের নির্দিষ্ট এলাকার পথচারীদের দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ এবং মোবাইল ফোন ছিনতাই করে আসছিল বলে র্যাবকে জানান।
র্যাবের সিনিয়র সহযোগী পরিচালক নূরুল আবছার বলেন, নানা সূত্রে জানা যায় গ্রেুফতারকৃতরা এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাইম আধিপত্য বিস্তার, হুমকি, ইভ টিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। ঈদকে ঘিরে তারা আবার কর্মকান্ডে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করে। সিডিএমএস পর্যালোচনায় গ্রেফতারকৃত ৩৩ জন কিশোর গ্যাং সদস্যদের মধ্যে ৫ জনের নামে ৮টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
টপ নিউজ