৪ ঘণ্টা পর পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাস চলাচল শুরু

সকাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

সুপ্রভাত ডেস্ক »

পরিবহন শ্রমিকদের মারধর ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের পথে যে বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছিল তা প্রত্যাহার করেছেন মালিক-শ্রমিকরা।

রোববার সকাল ১০টা থেকে নগরীর কর্ণফুলী নদী সংলগ্ন নতুন ব্রিজ চত্বরে চালক-সহকারীরা অবস্থান নিয়ে কক্সবাজারের দিকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর বিডিনিউজের।

পরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খানের অনুরোধে দুপুর ২টায় ওই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয় বলে জানান আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি নুরুল কবীর।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের পথে বান্দরবানসহ মোট ১৯টি রুটে ছোট-বড় বাস চলাচল করে থাকে। দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজারের লোকজন যাতায়াতের জন্য এসব পরিবহনের ওপর নির্ভরশীল।

কোনরকম ঘোষণা ছাড়াই বাস চালানো বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েন ওই সব রুটে চলাচলকারী লোকজন। তাদের বিকল্প পথে অধিক ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি নুরুল কবীর বলেন, চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ইউনিয়নের একটি পক্ষ অপর পক্ষের শ্রমিকদের মারধর ও অপহরণের অভিযোগে কক্সবাজার রুটে তারা গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেন। এছাড়া ইউনিয়নের পক্ষে প্রতিটি বাস থেকে চাঁদা আদায় বন্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবিও তাদের রয়েছে।

দক্ষিণ চট্টগামের এক পরিবহন শ্রমিক বলেন, আরাকান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছার দীর্ঘদিনের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করায় কয়েকজন শ্রমিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকার পতনের পর শ্রমিকদের একটি অংশ কমিটির পরিবর্তন চাইছেন। সেই সঙ্গে কক্সবাজার রুটে চাঁদা না দিয়ে বাস চালানোর দাবিও যোগ হয় আন্দোলনে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন বলেন, যাওয়া-আসা মিলিয়ে যে চাঁদা দিতে হচ্ছে, তার কারণে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে। এতে করে চালক-সহকারীদের প্রতিদিনের আয়ও কমে গেছে। সেকারণে তারা ক্ষুব্ধ।

অভিযোগের বিষয়ে আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছা বলেন, “সব আগের নিয়মেই চরছে। কক্সবাজার রুটে বড় ও ছোট বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়া নিয়ে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে সমস্যা আছে। সে কারণে নানা কথা বলে বাস চালানো বন্ধ রাখা হয়।”