পটিয়ার সুখেন্দু নন্দী সেতু
নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া :
পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের নন্দীর খালে সরকারি অর্থে নির্মিত একটি সেতু অকেজো হয়ে পড়েছে। সেতুটির সঙ্গে নেই সড়কের কোন সংযোগ। যার কারণে সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই অকেজো। ফলে ওই এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ চলছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিস হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সুখেন্দু নন্দী সেতুর কাজ বাস্তবায়ন করছে। ঠিকাদার কাজ শেষ করলেও সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়ক না থাকায় নির্মাণের পর থেকেই অকেজো। সরকারি অর্থে প্রায় ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি এখন ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এমনকি সেতু এলাকায় কোন মানুষ মারা গেলেও তা শ্মশানে নিয়ে যাওয়া ও অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
জানা গেছে, উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দীর খালে দীর্ঘদিন একটি বাঁশের সাঁকো ছিল। ওই সাঁকো দিয়ে লোকজন চলাচল করতেন। খালের পশ্চিম পাড়ে রয়েছে হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মৃদুল কান্তি নন্দীর বাড়ি। সেতু এলাকার সড়কটির কোন অস্থিত্ব ছিল না। কর্মসৃজন প্রকল্পের অর্থে হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাস্তার কাজ করেন। বর্তমানে রাস্তার দু’পাশে ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে। ৩ বছর আগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ২৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় একটি সেতুর টেন্ডার করে। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মীর এমদাদুল হকের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিহাদ ট্রেডিং। মিহাদ ট্রেডিং কাজটি পেলেও কার্যাদেশের দুই বছর পর ঠিকাদারের সাব কন্ট্রাক্টর যুবলীগ নেতা মো. রাসেল কাজটি শুরু করেন। সেতুটির কাজ শেষ করলেও নানা কারণে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করতে পারেনি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, জনস্বার্থে সেতু এলাকায় একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়। অথচ সেতুটি নির্মাণের পর সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা হয়নি। উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় আগামীতে বিষয়টি নিয়ে উত্থাপন করা হবে।
তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিহাদ ট্রেডিং এর সাব কন্ট্রাক্টর যুবলীগ নেতা মো. রাসেল জানিয়েছেন, অস্থিত্ববিহীন একটি রাস্তার মাঝামাঝিতে খালের উপর যে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করতে পারেননি। যে কোন সময় সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা হবে।
পটিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুপ্তশ্রী সাহা জানিয়েছেন, সংযোগ সড়কের কাজ শেষ না করে ঠিকাদার যাতে টাকা উঠাতে না পারে সে ব্যাপারে অবশ্যই নজরে রাখবেন। ঠিকাদার কেন অবহেলা করেছে তাও খতিয়ে দেখবেন।