৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা #
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পবিত্র ঈদুল আযাহাকে (কোরবানির ঈদ) সামনে রেখে মসলা জাতীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির পায়তারা করছে নগরীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। ২৪১০ টাকার এলাচি বিক্রি করছে ৩৬০০ টাকা, ২৪০ টাকার দারুচিনি ৩৭০ থেকে ৪০০ টাকা, ৪২০ টাকার গোল মরিচ ৬২০ টাকা, ২৭৫ টাকার জিরা ৪০০ টাকা করে বিক্রি করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মসলা বাজারের এমন চিত্র দেখতে পান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
রোববার (২৮ জুন) বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নগরীর খাতুনগঞ্জের মসলার আড়ত গুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: উমর ফারুক। কোরবানি উপলক্ষে মসলার বাজার স্থিতিশীল রাখতে চালানো অভিযানে মসলা জাতীয় পণ্যের বিক্রয় তালিকা ও বিক্রয়ের সাথে বিস্তর ফারাক দেখতে পান তিনি।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক সুপ্রভাতকে বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভোগ্যপণ্য ও মসলা জাতীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে খাতুনগঞ্জে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দেখা যায়, মসলার আড়তে লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র ও আড়তে টাঙিয়ে রাখা বিক্রয় মূল্য তালিকা ও ডকুমেন্টে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কয়েকগুণ বেশি দামে মসলা বিক্রয়, মূল্য তালিকায় হেরফের ও ঘষামাজা করার কারণে মেসার্স নারায়ন ভান্ডারকে ২০ হাজার, মেসার্স চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, আল্লাহর দান স্টোরকে ১০ হাজার ও মেসার্স অনিল দেব স্টোরকে ১০ হাজার করে ৪ ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মসলার বাজার অস্থির করা হয়ে প্রশাসন আরো কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।