ওয়েবসাইট বানিয়ে কমমূল্যে ব্র্যান্ডের ফোনের বিজ্ঞাপন
সুপ্রভাত ডেস্ক »
কম দামে বিভিন্ন দামি ব্র্যান্ডের মোবাইলফোন সেট দেওয়ার প্রচারণা চালিয়ে গ্রাহকদের থেকে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মশিউর রহমান (১৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
গতকাল রোববার ভোর ৪টায় নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন উত্তর পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মশিউর রহমান নোয়াখালী জেরার সূবর্ণচর কাটাবুনিয়া এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে।
গতকাল বেলা ১১টায় র্যাব-৭ এর বহদ্দারহাট চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন উপ-অধিনায়ক মেজর মো. রেজওয়ানুর রহমান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দামী ব্র্যান্ডের মোবাইলফোন কম দামে দেওয়ার কথা বলে ১৩টির অধিক ভুয়া ফেসবুক পেজ/ওয়েবসাইট খুলে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল মশিউর। নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন মাস্টারপাড়া পাটোয়ারী বাড়ি মসজিদ সংলগ্ন একটি ভবনের কক্ষ থেকে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। কম দামে ফোন পেতে অগ্রিম টাকাও দিয়েছেন অসংখ্য গ্রাহক। যার আনুমানিক অর্থ ২৪ লাখ টাকা। যার সব টাকাই আত্মসাৎ করেন মশিউর। এদিকে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইলফোন দেওয়ার বিষয়টি নজরে আসে রিয়েলমি কর্তৃপক্ষের। তারা জানতে পেরে নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ ধরনের প্রতারণার থেকে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের সতর্ক থাকার পোস্ট দেয়।
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, এ প্রতারণার প্রতিকার চেয়ে ‘রিয়েলমি মোবাইল ফোন কোম্পানি’ র্যাব-৭ এ সম্প্রতি অভিযোগ করে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জুলাই রাতে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন মাস্টারপাড়া পাটোয়ারী বাড়ি মসজিদ সংলগ্ন ভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মশিউরের কক্ষ থেকে দুটি আইপি টেলিফোন, একটি রাউটার, একটি মনিটর, একটি সিপিউ, একটি কি-বোর্ড, একটি মাউস, একটি চেকবই, ইসলামী ব্যাংকের একটি ভিসা কার্ড, একটি কারব্যাগ, দুটি ভিজিটিং কার্ড ও নগদ ১৩ হাজার ১৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই সময় মশিউর পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মশিউর রহমান জানিয়েছে- গত ৪-৫ মাস আগে আইয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশির কাছ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ফেসবুক মার্কেটিং এবং ওয়েব ডিজাইনের কাছ শিখেছে। কাজ শেখার পর ১৩টির বেশি ভুয়া ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট খুলে সে। এতে অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইলফোন কম দামে বিক্রির চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা আত্মসাৎ শুরু করে। গত ৪-৫ মাসে অসংখ্য গ্রাহকের কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মশিউর।