নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তরের সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করছে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ। ২০০ টাকার ওষধু ৬০০ টাকা, ২২০ টাকার স্যাভলন ৫০০ টাকা এবং ১২০ টাকার ওষুধ ১৮০ টাকায় বিক্রি করছে ফার্মেসির মালিকরা। নগরীর বিভিন্ন ফার্মেসিতে অভিযান চালানোর সময় এ চিত্র দেখা যায়।
সোমবার (৮ জুন) সকাল ১০টা থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় নগরীর বায়েজিদ, পাঁচলাইশ ও চকবাজার এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ৭ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও নকলচেরি ধ্বংস করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্র্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযানগুলো পরিচালনা করেন।
ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা সুপ্রভাতকে বলেন, এক ভোক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকার পপুলার ফার্মেসিকে ২০০ টাকার ওষুধ ৬০০ টাকায় বিক্রি করায় ২০ হাজার টাকা, একই প্রতিষ্ঠানকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় আরও ৫ হাজার, বায়েজিদ থানার আল মাশাফি ফার্মেসিকে ১২০ টাকার ওষুধ ১৮০ টাকায় বিক্রি করায় ১০ হাজার, বিসমিল্লাহ্ ফার্মেসিকে ২২০ টাকার স্যাভলন ৫০০ টাকায় বিক্রি করায় ১০ হাজার, চকবাজার এলাকার কর্ণফুলী ফার্মেসিকে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্যারাসিটামল ও হেক্সিসল সংরক্ষণ এবং উৎপাদন মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে নগরীর বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় অক্সিজেন মোড় বাজারের হাজী সিরাজ স্টোরকে ৫ হাজার, জাহাঙ্গীর স্টোরকে ৫ হাজার, পাঁচলাইশ থানা মোড়ের জহির ফল বিতানকে নকল চেরি বিক্রি করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।