বাসস :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের ২০২১ সাল নাগাদ দেশের প্রতিটি বাড়ি আলোকিত করার লক্ষ্য পুনর্নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি আর ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি বাড়ি আলোকিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৮টি জেলার ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন। এছাড়াও, তিনি এ সময় দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন এবং ছয়টি নতুন ট্রান্সমিশন লাইনের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছে। তিনি মানুষকে বিদ্যুতের অপচয় না করার জন্য আবারো আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনেই একটি মোটা অংকের অর্থ ব্যয় হয়। আমরা এখন এলএনজি আমদানি করছি এবং এখনও বিদ্যুৎ খাতে বিরাট অংকের ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সবাইকে এ কথা মাথায় রাখতে হবে যে সরকারের পক্ষে সব সময় এই বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া সম্ভব নয়।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই দেশের শতকরা ৯৭.৫ ভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি এবং আশা করছি ২০২১ সাল নাগাদ আমরা দেশের সব মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষে তাঁর সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ৪১ সাল নাগাদ ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা অধিকতর শিল্পায়নের লক্ষে সারাদেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছি আর এভাবে আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছি। এজন্য বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ স্থাপন করেছে। দেশে যত বেশি আইসিটি ব্যবহার বাড়বে, বিদ্যুতের চাহিদাও ততই বৃদ্ধি পাবে।’
এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট সচিবগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত : বঙ্গবন্ধু থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। এতে বিগত ১১ বছর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়।
পাশাপাশি, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।