তিনদিনব্যাপী চলবে বৈশাখী মেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক »
শত বছরের ঐতিহ্য আব্দুল জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার ১১৩তম আসর বসবে ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠের বাইরে রাস্তায়। স্পন্সর নয়, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আর্থিক ও সব সহযোগিতা করবেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাট নিজ বাসভবনে জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এসময় ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠের কাজ শেষ হয়নি, তাই এবার মাঠে বলীখেলা করতে পারছি না। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে লালদীঘির মাঠেই বলীখেলা হবে। মাঠের সামনে জেলা পরিষদের সামনে সড়কের ওপর ১২ বৈশাখ অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বলীখেলা অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সময় কিছুটা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বৈশাখী মেলা পাঁচদিনের বদলে তিনদিন হবে।
রাস্তার উপরেই ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের মঞ্চ বানিয়ে বালি দিয়ে বলীখেলার উপযোগী করা হবে বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, বলীখেলা দেখার জন্য আশপাশের চারদিক উন্মুক্ত থাকবে। বৈশাখ মাসের ১১ তারিখ অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল থেকে ১৩ বৈশাখ অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টলাবাসীকে বলীখেলা ও মেলায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে স্পন্সরের বদলে আয়োজনের পুরো ব্যয়ের ব্যবস্থা করব। মেলার আগের যে জৌলুস ছিল, সবকিছু থাকবে। মেলার আনুষাঙ্গিক যা যা দরকার হয়, সব সহযোগিতা থাকবে।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য আব্দুল জব্বার সাহেব এই বলীখেলার প্রচলন করেছিলেন। এ বলীখেলা ও মেলা সাধারণ কোনো মেলা ছিল না। এই ঘোষণার মধ্যদিয়ে বলিখেলা ও বৈশাখী মেলা বন্ধের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে যে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল, তা পুরোপুরি নিরসন হবে বলে মনে করছেন মেয়র। আসুন, সকলে মিলে প্রাণের আনন্দে, উল্লাসে ফেটে পড়ি। সবাই মিলে সুন্দরভাবে বলিখেলা ও মেলা শেষ করি।’
মেলা আয়োজক কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মেলা কমিটির সদস্য সচিব ও আবদুল জব্বারের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল, আয়োজক কমিটির সভাপতি চসিক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী ও সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন।