নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবসান হলো কিট সঙ্কটের। নয় হাজার কিট পেল চট্টগ্রামের চার ল্যাব (বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)। এসব ল্যাবে চট্টগ্রামে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার নমুনা পরীক্ষা হয়ে থাকে। যেহেতু একটি কিট দিয়ে দুটি পরীক্ষা করা হয় সেই হিসেবে ১৮ দিনের কিট পেল চট্টগ্রাম।
রোববারের মধ্যে কিট না পেলে সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে যেতো চট্টগ্রামের করোনা পরীক্ষা। কিট সঙ্কটের কারণে গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে গিয়েছিল। গত শনিবার মাত্র ৫৯০ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে । এর আগে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পরীক্ষা হয়েছিল ১০৯৩টি নমুনা, এর আগে বুধবার হয়েছিল ৯৭১টি, মঙ্গলবারে ৯৯৯টি, সোমবারে ৯২৬টি এবং রোববারে ১০৪৯টি নমুনার। কিন্তু কিট কমে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে আসে। তবে সোমবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এবিষয়ে কথা হয় বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমরা তিন হাজার কিট পেয়েছি। যেহেতু একটি কিট দিয়ে দুটো নমুনার পরীক্ষা করছি সেই হিসেবে ছয় হাজার নমুনার পরীক্ষা করা যাবে। আমরা প্রতিদিন গড়ে ৩০০ নমুনা পরীক্ষা করে থাকি।’
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব ইনচার্জ প্রফেসর ড. জুনাদে সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা দুই হাজার কিট পেয়েছি। এতে চার হাজার নমুনার পরীক্ষা করা সম্ভব।‘
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের ইনচার্জ প্রফেসর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুই হাজার কিট পাওয়ার কথা রয়েছে। যেহেতু এখনো ল্যাবে এসে পৌঁছেনি তাই বলতে পারছি না।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবের ইনচার্জ ডা. আবুল কালাম বলেন, আমাদের ল্যাবে এখনো কিট পৌঁছেনি। তবে দুই হাজারের মতো কিট পাওয়া গেছে বলে শুনেছি।’
চট্টগ্রামে সরকারি চার ল্যাবের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে সাড়ে তিন হাজার টাকা ফি এর বিনিময়ে দুটি ল্যাব করোনা পরীক্ষা করছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এই অবস্থায় কিট সঙ্কট চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। সারাদেশে কিটের সঙ্কট রয়েছে। এই সঙ্কটের মধ্যে স্বল্প পরিমাণে হলেও কিট পাওয়া গেল। চট্টগ্রামে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৬৮৯ জন।
এ মুহূর্তের সংবাদ