১০ লাখ লোককে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেবে বারইপাড়া খাল প্রকল্প : মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প ১০ লাখ নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার দুঃখ থেকে মুক্তি দেবে। মেয়র গতকাল মঙ্গলবার ‘বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন’ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মেয়র বলেন, খাল খনন সম্পন্ন হলে শুলকবহর, মোহরা, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া ও চাক্তাইসহ ৮ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দা জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে। খননকৃত ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি হবে ৬৫ ফুট চওড়া। খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি রাস্তা হবে এবং ছয় ফুট প্রস্থের দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। খালটি বারইপাড়া থেকে শুরু হয়ে নূর নগর হাউজিং হয়ে, ওয়াইজপাড়া থেকে বলিরহাটের পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশবে।

প্রকল্পের পরিচালক ফরহাদুল আলম জানান, সাম্প্রতিক রেকর্ড বৃষ্টিতে প্রকল্পের কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে। এক হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকার প্রকল্পটির ইতোমধ্যে ৫৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুততম সময়ে প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করতে বর্তমানে দিন-রাত কাজ চলছে।

উল্লেখ্য, এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৯৯৫ সালে করা ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানে নগরীর বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত দুই দশমিক নয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি খননের সুপারিশ করা হয়। এর প্রায় দুই দশক পর ২০১৪ সালের জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হলে ওই এলাকার ২ হাজার ২৬৪ হেক্টর এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হবে।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম চৌধুরীসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিজ্ঞপ্তি