সুপ্রভাত ডেস্ক :
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাব্য আশংকা উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সম্ভবত ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সাথে সীমিত যোগাযোগ রাখবেন।
হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে মাস্ক পরা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে সোমবার তিনি এসব কথা বলেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সেক্রেটারি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তিনিও কোয়ারেনটিনে আছেন বলে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
কিন্তু ট্রাম্প এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে পেন্সের মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমের এ খবর অস্বীকার করে বলেছে, পেন্স কোয়ারেনটিনে নেই। ট্রাম্পকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি পেন্সের সাথে যোগাযোগ সীমিত রাখার কথা বিবেচনা করছেন বলে জানান।
এদিকে করোনা মোকাবেলায় গঠিত টাস্ক ফোর্সের তিন সদস্য সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ এন্থনি ফুসি, সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এর পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড এবং ফুড এন্ড ড্রাগ প্রশাসনের প্রধান স্টিফেন হান কোয়ারেনটিনে রয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প তা নাকচ করে দেন।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশকে সক্রিয় রাখতে চাই। ফলে হোয়াইট হাউসে অনেক লোক আসছে- যাচ্ছে। এদের অধিকাংশই পরীক্ষিত।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে যারাই আসছে তাদেরই পরীক্ষা করানো হচ্ছে। তাই আমি কোন ঝুঁকি মনে করছি না। এদিকে নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে ট্রাম্প দেশের অর্থনীতি সচল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, দেশ পুনরায় সচল করা জরুরি। জনগণ চায় দেশ খুলে দেয়া হোক। কারণ লকডাউনেও তারা মরছে।
এদিকে হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইং এ প্রেসিডেন্ট ও তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের কার্যালয়, প্রেস ব্রিফিং রুম এবং হোয়াইট হাউসের করোসপন্ডেন্টদের ডেস্ক রয়েছে যেখানে খুব কাছাকাছি বসে সকলে কাজ করে। এ প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্টের সিনিয়র অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হাসেট সিবিএসকে বলেন, সেখানে কাজে যাওয়াটা ভয়ের। সিএনএনকে তিনি বলেন, বিশ্বের যতো পরীক্ষা নিরীক্ষা আর পৃথিবী সেরা মেডিক্যাল টিম থাকুক ওয়েস্ট উইংয়ে কাজে যাওয়ার চেয়ে আমি আমার ঘরেই নিরাপদ থাকবো। কারণ ওয়েস্ট উইং ঘিঞ্জি জায়গা।
এদিকে সোমবার ওয়েস্ট উইংয়ে সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে মেমো ইস্যু করা হয়েছে। অথচ ৭৩ বছর বয়সী ট্রাম্পকেই মাস্ক পরতে দেখা যায় না।