ডিম ছেড়েছে মা মাছ, পরিমাণ নিয়ে প্রশাসন ও বিশেজ্ঞদের দ্বিমত
মোহাম্মদ নাজিম :
এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা-মাছ ডিম ছেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাতে মা-মাছ নমুনা ডিম ছাড়ে। ডিম ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নদীর পাড়ে ভিড় করতে থাকে ডিম সংগ্রহকারীরা। শুক্রবার (২২ মে) সকাল থেকে কার্প জাতীয় মা-মাছ নদীতে পুরোদমে ডিম ছাড়ে। ডিম ছাড়ার পর পরই ডিম ধরার সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ডিম সংগ্রহকারীরা।
মিষ্টি পানির হালদা নদীতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশসহ কার্প জাতীয় মা-মাছ ডিম ছাড়ে।
এদিকে হালদা থেকে মা মাছের ডিম সংগ্রহ করার পর ডিমের পরিমাণ নিয়ে প্রশাসন ও হালদা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। সংগ্রহ করা ডিমের পরিমাণ নিয়ে প্রশাসন বলছে ১৬ হাজার কেজি। আবার একজন হালদা বিশেষজ্ঞও বলছেন ১৫ থেকে ১৬ হাজার কেজি। আরেকজন বিশেষজ্ঞসহ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন ২৫ হাজার ৫শ ৩৬ কেজি ডিম পাওয়া গেছে।
ডিমের পরিমাণ নিয়ে তাই ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে বেশ কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারীরা জানিয়েছেন এবার নদী থেকে প্রায় ১৬ হাজার কেজি মা মাছের ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে।
হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রািণবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী সুপ্রভাতকে বলেন, হালদা নদীতে মা মাছের যে পরিমাণ ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে সেটা যদি হিসাব করে দেখা যায় ২৫০ নৌকার মধ্যে প্রতি নৌকায় ৬ বালতি করে ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। তাহলে ডিমের পরিমাণ হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার কেজি।
অন্যদিকে বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে সুপ্রভাতকে বলেন, চবি হালদা রিসার্চ ল্যাব, মৎস্য অধিদফতর ও উন্নয়ন সংস্থা আইডিএফের তিনটি টিম এবার মা-মাছের ডিম সংগ্রহের কর্মযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেছে। আমাদের সম্মিলিত হিসাবে ২৮০টি নৌকায় ৬১৫ জন ডিম সংগ্রহকারী এবার মাছের ডিম সংগ্রহ করেছেন। সব মিলিয়ে তারা এবার ২৫ হাজার ৫শ ৩৬ কেজি মাছের ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ডিমের পরিমাণ নিয়ে দ্বিমতের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নদীর পাড়ে গিয়ে ডিমের বিষয়ে যে তথ্য পেয়েছি সেটি প্রকাশ করেছি।
এবিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন সুপ্রভাতকে বলেন, হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। নদীর পাড়ে গিয়ে ডিম সংগ্রহকারীদের সাথে কথা বলে পর্যাপ্ত তথ্য নিয়ে দেখা গেছে এবার ডিম সংগ্রহকারীরা নদী থেকে ১৬/১৭ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করেছেন।
স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীরা জানিয়েছেন, গত বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হলে বৃহস্পতিবার হালদা নদীর জোয়ারের পানি বেড়ে যায়। এতে রাতের দিকে হালদা নদীতে মা-মাছের ডিমের নমুনা দেখা দেয়। শুক্রবার সকালের দিকে আবার জোয়ার হলে মা-মাছ পুরোদমে ডিম ছেড়ে দেয়। মুষলধারে বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের স্্েরাতে হালদায় মা-মাছ ডিম ছাড়ে এবং অমবশ্যা ও পূর্ণিমার তিথিতে বৃষ্টি হলে মা মাছ ডিম দিলেও কিন্তু এবার ব্যতিক্রম সময়ে ডিম ছেড়েছে মা-মাছ। পূর্ণিমা ও অমবশ্যার মাঝামাঝিতে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হওয়ায় মা মাছ ডিম ছেড়েছে।
নদীর মাছুয়া ঘোণা, অঙ্কুরি ঘোণা, নাপিতের ঘাট, আজিমের ঘাট, সীপাহির ঘাটা, পুরাকপালী, নয়াহাট, পুলিশফাঁড়ির মুখসহ বিভিন্ন স্পট থেকে সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্র
এ মুহূর্তের সংবাদ