হ্যাচাররিতে আসতে শুরু করেছে ক্রেতারা
মোহাম্মদ নাজিম:
এশিয়ার বিখ্যাত প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে সংগ্রহীত মা-মাছের ডিম গুলো সনাতন পদ্ধতিতে মাটির কুয়া ও হ্যাচারির কুয়ার পানি পরির্বতন করার মাধ্যমে ইতিমধ্যে ডিম থেকে পোনায় রূপানত্মর হয়েছে।
এই পোনা গুলোর বর্তমানে চোখ ফুটেছে ও পোনার শরীরে রক্ত চলাচলও শুরু হয়েছে বলে মৎস্য কর্মকর্তারাসহ ডিম সংগ্রহকারীরা জানিয়েছেন। হালদার পোনার ব্যপক চাহিদার কারণ হিসেবে জানা যায়, হালদা নদীতে কার্প জাতীয় রুই, কাতাল, মৃগেল ও কালিবাইশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মা-মাছ ডিম দিয়ে থাকে।
মঙ্গলবার থেকে হালদা নদীর মা-মাছের পোনা বেচাকেনা শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি পোনা ৬০/৭০ হাজার টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ডিম সংগ্রহকারী মোহাম্মদ জামশেদ।
ইতিমধ্যে পোনা ক্রয় করার জন্য ক্রেতারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিক্রেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখাসহ অনেক ক্রেতা আবার অগ্রিম বুকিং করে রেখেছে বলে জানান পোনা সংগ্রহকারীরা।
হালদা নদীর মা-মাছের ডিম সংগ্রহ করে ডিম থেকে পোনা রূপানত্মরকারী ও পোনা বিক্রেতারা সুপ্রভাতকে জানিয়েছেন, নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করে রাত-দিন এই ডিম নিয়ে পড়ে ছিলাম প্রতি মুহূর্ত ছিল আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান। সঠিক পরির্চযা করে কুয়ার পানি বার বার পরির্বতন করে কৃত্রিম উপায়ে এখন ডিম থেকে পোনায় রূপান্তর হয়েছে।
হালদা পাড়ের আরো কয়েকজন পোনা বিক্রয়কারী জানান, ইতিমধ্যে আমাদের কাছে পোনা ক্রেতারা আসতে শুরু করেছে। অনেক কষ্ট করে ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করে পরির্চযার মাধ্যমে কৃত্রিম ভাবে ডিম থেকে পোনায় রীপানত্মর করেছি।
সঠিক মূল্য পেলে সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে। পোনার দামের কথা জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, একজন এক রকমের দাম বলছে। যে উপযুক্ত দাম দিবে তার কাছে বিক্রি করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন সুপ্রভাতকে বলেন, হালদার মা-মাছের পোনা বিক্রয় শুরু হয়েছে। পোনা ক্রেতারা এসে সরাসরি পোনা ক্রয় করছেন। সব গুলো হ্যাচারির উপর প্রশাসনের পড়্গ থেকে নজরদারি করা হচ্ছে যাতে কেউ ভেজাল করতে না পারে।
হাটহাজারী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা রনি সুপ্রভাতকে বলেন, নদী থেকে সংগ্রহ করা ডিম গুলো থেকে পোনায় রূপান্তর করা হয়েছে। এখন সেগুলো বিক্রয় করা হচ্ছে। আশা করি পোনা বিক্রয়কারীরা উপযুক্ত দাম দিয়ে তাদের পোনা বিক্রয় করতে পারবে।