মোহাম্মদ নাজিম: :
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে অবশেষে ডিম ছেড়েছে মা-মাছ। বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাতে নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম দিলেও শুক্রবার (২২ মে) সকাল থেকে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে মা-মাছ। মূলত মিষ্টি পানির এই নদীতে রম্নই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশসহ কার্প জাতীয় মা-মাছ গুলো ডিম ছাড়ে। এখন নদীতে প্রায় ৩শ ডিম সংগ্রহকারী নৌকা দিয়ে নদী থেকে মা-মাছের ডিম সংগ্রহ করছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রম্নহুল আমিন।
গত বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরম্ন হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার হালদা নদীর জোয়ারের পানি বেড়ে যায়। এতে রাতের দিকে হালদা নদীতে মা-মাছের ডিমের নমুনা দেখা দেয়। শুক্রবার সকালের দিকে আবার জোয়ার হলে মা-মাছ পুরো দমে ডিম ছেড়ে দেয় বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারী সঞ্জয় বড়-য়া। এ খবর ডিম সংগ্রহকারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা, জালসহ ডিম ধরার সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে বলে সুপ্রভাতকে জানিয়েছেন আইডিএফ’র জুনিয়র মৎস্য মো. রাশেদ। মুষলধারে বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের স্রোতে হালদায় মা-মাছ ডিম ছাড়ে। নদীর মাছুয়া ঘোনা, অঙ্কুরি ঘোনা, নাপিতের ঘাট, আজিমের ঘাট, সীপাহির ঘাটা, পুরাকপালী, নয়াহাট, পুলিশফাঁড়ির মুখ সহ বিভিন্ন স্পট থেকে ডিমসংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
এবিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রম্নহুল আমিন সুপ্রভাতকে বলেন, রাতে মৎস্য প্রজনন ড়্গেত্র হালদা নদীতে মা-মাছ নমুনা ডিম দিলেও শুক্রবার সকাল থেকে পুরো দমে ডিম ছাড়ে কার্প জাতীয় মা-মাছ। এখন নদীতে প্রায় ৩শ নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহকরীরা মা-মাছের ডিম সংগ্রহ করছেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা রনি সুপ্রভাতকে বলেন, হালদা নদীতে মা-মাছ ডিম ছেড়েছে। এখন সংগ্রহ চলছে।