সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেশীয় চাহিদা ও বিদেশি বাজারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে হালকা প্রকৌশল খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পমালিক সমিতির উদ্যোগে ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন’ শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ে পরামর্শক কর্মশালায় একথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যকে ২০২০ সালের বর্ষপণ্য হিসাবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদের বাজেটে এই খাতের বিকাশ ও সম্প্রসারণে যথেষ্ট সুযোগ রাখা হয়েছে। এই খাতের রপ্তানি উন্নয়নেও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তৈরি করা হচ্ছে একটি আধুনিক নীতিমালা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মেলাতে এই নীতিমালা ভূমিকা রাখবে। সারাদেশে ৩২টি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাস্টারের মধ্যে ১১টি ক্লাস্টারের মতামত ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। বেজা, বিডা, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মতামতও নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়েছে।
“সুনির্দিষ্ট এবং কার্যকর দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীবাহিনী তৈরির মাধ্যমে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংখাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। নতুন নতুন কর্ম সৃষ্টি ও পণ্য বহুমুখীকরণের ফলে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারিত হবে। ফলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে, দেশের অর্থনীতি ত্বরান্বিত হবে।”
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হালকা প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি, প্লাস্টিক, কৃষি এবং চামড়া খাতকে রপ্তানি সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় খসড়া নীতিমালার উপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।