সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
রোববার রাতেই ঢাকায় পা রাখেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। দ্বিতীয় মেয়াদে কেমন করবেন লঙ্কান এই কোচ? আগের মতোই চমক দেখাবেন নাকি আগের চেয়েও ভালো কিছু করবেন? একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে হাথুরুসিংহেকে এর আগে বেশ কাছ থেকেই দেখেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। আসলে দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকায় বাংলাদেশের সব বিদেশি কোচকেই কমবেশি যাচাই করার সুযোগ হয়েছে বিসিবি পরিচালকের। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই সুজন মনে করছেন, হাথুরু অন্য কোচদের চেয়ে আলাদা। তার অধীনে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ দল আরও বড় সাফল্য পাবে, আটকেএমন আশা সুজনের। খবর জাগোনিউজ’র
সুজন বলেন, ‘আমি তো খুব ইতিবাচক ও আসতেছে। আমি সব সময় মনে করি মানে আমি তো অনেক কোচের সঙ্গে কাজ করেছি, ওর সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল। যতটুকু আমি ওকে চিনি, আমিই অনেক ইতিবাচক চিন্তা করছি, ও আসলে আমাদের হয়তোবা যেখানে আমরা আছি সেখান থেকে সামনে যাব।’
এমন চিন্তার কারণটাও ব্যাখ্যা করলেন সুজন, ‘যে সময় হাথুরু ছিল, তখন তো দলটা ওত অভিজ্ঞ ছিল না। ওই দলটাকেই হাথুরু একটা ড্রাইভিং ফোর্স বানিয়েছিল। সেখানে আমরা ম্যাচ জিততে শুরু করেছিলাম, ড্রেসিংরুমে কালচার পরিবর্তন হয়েছিল। অনেক পরিবর্তন এসেছিল। এখন তো হাথুরু একটা পরিপক্ক দল পাবে, সে নিজেও এখন অনেক পরিপক্ক কোচ। সে হিসেবে আমরা তো আশাই করতে পারি, হাথুরু’র অধীনে আমরা আরও ভালো কিছু করব। বাংলাদেশের আরও বড় সাফল্য আসবে সেটাই বিশ্বাস করি আমি।’
কেমন করতে পারে? এমন প্রশ্নে সুজন বলেন, ‘ভালোর তো কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। এখন আমরা যেখানে আছি, আমার মনে হয় কিছুদিন ধরে আমরা একটা জায়গা একটু আটকে আছি। টেস্ট ম্যাচে ভালো করছি না, টি-টোয়েন্টিতে ভালো করছি না, ওয়ানডেতে আমাদের পারফরম্যান্সটা এখনও ভালো আছে। ওয়ানডেতে নিশ্চিতভাবে আমি চাই সামনে বিশ্বকাপ আছে আমরা আরও ভালো করি, আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হই।’
‘টেস্ট-টি-টোয়েন্টিতে উন্নতিগুলো ওর হাত ধরে আসুক, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কালচার সম্পর্কে, খেলোয়াড়দের সম্পর্কে ওর ভালো ধারণা আছে। আমার মনে হয় তাদের সঙ্গে কথাও হয়েছে এর মধ্যে আসার আগ পর্যন্ত। নিশ্চিতভাবে আমি যেটা বললাম, আমি খুব ইতিবাচক চিন্তা করছি যে, হাথুরু’র অধীনে ভালো কিছু হবে।’
চলতি বছরই ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। হাথুরু’র অধীনে ওই বিশ্বকাপে দলের কাছ থেকে কেমন ফল প্রত্যাশা করা যায়? সুজনের জবাব, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপ মানেই আমাদের জন্য মূল সংস্করণ। আমি তো চাই, আমরা এখানে বড় খেলি। যেটা করতে পারিনি এখন পর্যন্ত, সেরকম করতে চাই। ভালো কিছু করতে চাই। যেরকম বললাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই, যদি এরকম কথাটা বলি আমি। প্র্যাকটিক্যালি চিন্তা করলে আমরা অবশ্যই কোয়ার্টার ফাইনালে যেতেই চাই। নকআউট স্টেজে গিয়ে সবসময় চান্স থাকবে… নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেললে সামনে এগিয়ে যাওয়ার, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলার।’