নিজস্ব প্রতিনিধি, হাটহাজারী »
বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার জোবরা এলাকায় দুই চেয়্যারম্যান প্রার্থীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা সুপ্রভাতকে বলেন, হাটহাজারীর জোবরা পিপি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম রাশেদুল আলম (মোটরসাইকেল প্রতীক) এবং হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান (ঘোড়া) প্রতীকের সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসম এজেন্ট অফিস আগুন ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১২ থেকে ১৫ জন আহত হয় এবং একজন গুলিবিদ্ধ হয়। তবে তার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
পরে ভোট কেন্দ্রে র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। গতকাল বেলা ১২ টা থেকে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্বাভাবিক থাকলেও বাইরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিলো। পরে বিকাল থেকে (ভোট গ্রহণ শেষ হওয়া পযন্ত) সন্ধ্যা পর্যন্ত জোবরা এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে অবস্থায় ছিলো।
গতকাল বিকালে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান সুপ্রভাতকে বলেন, কেন্দ্রের বাইরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি।
হাটহাজারীতে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠ ভাবেই ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে হাটহাজারীতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ইউনুস গনি চৌধুরী (আনারস), এসএম রাশেদুল আলম (মোটরসাইকেল), মো. সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান(ঘোড়া), ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার নাথ (তালা), এমএ খালেদ চৌধুরী (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মো. আশরাফ উদ্দিন (টিউবওয়েল), মো. নুরুল আবছার (চশমা)।
মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান বিবি ফাতেমা শিল্পী (প্রজাপতি), মোক্তার বেগম (কলস), শারমীন আকতার (হাঁস), সাজেদা বেগম (ফুটবল) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।