নিজস্ব প্রতিনিধি, কাপ্তাই »
কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা মিশন-কেপিএম সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় অসংখ্য খানাখন্দ ও পিচ ওঠে বড় বড় গর্ত হওয়ায় নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের অধিকাংশ এলাকায় কংক্রিট ঢালাই ওঠে লোহার রড বের হয়ে পথচারী ও যানচলাচলে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন এ সড়কে হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করে।
জানা যায়, এক সময়ের এশিয়ার বিখ্যাত কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) শিল্প প্রতিষ্ঠানটির গোড়াপত্তনকালে কাঁচামাল ও উৎপাদিত কাগজ পরিবহনের সুবিধার্থে এবং শ্রমিকদের যাতায়াত ও চিকিৎসাসেবা পেতে চন্দ্রঘোনা মিশন-কেপিএম সড়কটি নির্মাণ করা হয়।
এছাড়াওকর্ণফুলী রেয়ন মিলস লি. (কেআরসি), চন্দ্রঘোনা পোস্ট অফিস, চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতাল, দোভাষী বাজার জেনারেল হাসপাতাল, উপশহরখ্যাত চন্দ্রঘোনা দোভাষীবাজারসহ বিভন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। থানা পোস্ট অফিস থেকে কর্ণফুলী নদীঘাটের ওপারে রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দ্রঘোনা থানা ও ঐতিহ্যবাহী রাইখালী মগবাজারে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করে হাজার হাজার মানুষ। কেপিএমে কর্মরত একাধিক শ্রমিক জানান, মিলের শত শত শ্রমিক প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করে। বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দভর্তি সড়কে খুবই ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে আমাদের। সড়কের ঢালাই ওঠে যাওয়ায় লোহার রডে বিদ্ধ হয়ে অনেকে আহত হয়েছেন।
পথচারী মোহাম্মদ আরমান বলেন, দোভাষী বাজারের শেষ অংশ ত্রিপুরাসুন্দরী পোল, গাংচিল রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে মিশন স্কুলের নিচের অংশ, মাজার এলাকা, চন্দ্রঘোনা পোস্ট অফিস, কেপিএম কলাবাগান, বারঘোনিয়া সিনেমা হল পর্যন্ত প্রায় পুরো সড়কের অবস্থা নাজুক। পাহাড়ি ঢলের পানিতে মিশন স্কুলের নিচে মাজার এলাকার সড়কে কাদামাটি এসে একাকার হয়। যার ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এম্বুলেন্স ড্রাইভার রহমান বলেন, বিপর্যস্ত সড়কে সবচেয়ে কাহিল হয়ে পড়ে রোগীরা। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার প্রয়োজন। চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলন বলেন, সড়কটি মেরামত করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।