স্লোগানে মুখর নগরী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও পুলিশ বক্সে হামলা

জুমার নামাজের পর নগরের আন্দরকিলা শাহি জামে মসজিদ থেকে মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছবি: সুপ্রভাত

নিজস্ব প্রতিবেদক »

বৃষ্টি উপক্ষো করে চট্টগ্রামের রাজপথে নেমে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিলে অংশ নেন হাজারো শিক্ষার্থী। মিছিলের শেষ পর্যায়ে দামপাড়া পুলিশ লাইন সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নাম ফলক এবং  ওয়াসা মোড়ের  ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে গণমিছিলটি বের করা হয়। মিছিল বের হওয়ার পর শুরু হয় বৃষ্টি। মিছিলটি প্রথমে নিউমার্কেট এলাকায় যায়। ব্যস্ততম নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নেন হাজারো শিক্ষার্থী। এ সময় সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেয় তাঁরা। পথে যেখানেই পুলিশ সদস্যদের চোখে পড়েছে সেখানেই শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেন।

এরপর মিছিলটি বেলা সাড়ে তিনটায় টাইগারপাস মোড়ে এসে অবস্থান করে। এখান থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী দেওয়ানহাটের দিকে চলে গেলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী লালখান বাজার হয়ে বহদ্দারহাটের দিকে যেতে থাকেন। পথিমধ্যে ওয়াসা মোড়ে পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং সেটি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারেন এবং ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্সও ভাঙচুর করেন। এখানে দামপাড়া পুলিশ লাইন সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নাম ফলক উপড়ে ফেলে বিক্ষোভকারীরা।

দামপাড়া থেকে জিইসি মোড়, ষোলশহর দুই নম্বর গেট এবং মুরাদপুর হয়ে বহদ্দারহাট মোড়ে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করার পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে মুরাদপুরের দিকে চলে যান।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক বলেন, জুমা শেষে আন্দেলনকারীরা আন্দরকিল্লা থেকে নিউমার্কেট স্টেশন রোড হয়ে টাইগারপাস বিক্ষোভ করেন সেখান থেকে জিইসি মোড় হয়ে বহদ্দারহাট গিয়ে তাদের কর্মসূচি শেষ করেন। কর্মসূচিতে কোতোয়ালি এলাকায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছে।

তবে সন্ধ্যায় সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কাজী তারেক আজিজ সুপ্রভাতকে বলেন, আন্দোলনকারীরা আন্দরকিল্লা থেকে নিউ মার্কেট হয়ে টাইগারপাসে বিক্ষোভ করেন। এরপর জিইসি মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় ওয়াসা মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুর করেন। আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধে যাদের আপত্তি তারা বিনা কারনে মুক্তিযুদ্ধ শব্দটিকে হামলা করেছে। যারা এই হামলায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।