নিজস্ব প্রতিবেদক »
জাকির হোসেন রোডে দক্ষিণ খুলশী এক নম্বর রোড। রাস্তার উপর থেকে সুউচ্চ পাহাড়, যেকোনো সময় প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতি করতে পারে। এমনই চিত্র ছিল কয়েক বছর আগেও। কিন্তু এখন সেই পাহাড় চূড়ায় একাধিক সুউচ্চ ভবন, পাহাড়ের ঢালে সবুজের সমারোহ এবং সুরক্ষিত সীমানা দেয়ালে এখন নিরাপদ আবাস গড়ে উঠছে সেই পাহাড়ে। আর এর কারিগর এপিক প্রপার্টিজ।
পাহাড় চূড়ায় ভবন নির্মাণে ইতিমধ্যে মুন্সিয়ানার পরিচয় দেয়া এপিক প্রপার্টিজ পাহাড়ে প্রথম প্রকল্প গ্রহণ করে চট্টেশ্বরী রোডে। ‘এপিক অঙ্গন’ নামের সেই প্রকল্পের সফল সমাপ্তির পর একে একে অনেকগুলো প্রকল্প নেয় পাহাড়ের মধ্যে। পরবর্তীতে নাসিরাবাদ প্রপার্টিজের পাহাড়ে ২০১০ সালে ‘এপিক স্পেলন্ডার’ নামের ৬ তলার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। সেই প্রকল্পের পর একইরোডে পাহাড় চূড়ায় ‘এপিক ক্রাউন রিজ-১’ ও ‘এপিক ক্রাউন রিজ-২’ নামে ৯ তলার দুটি টাওয়ার নির্মাণ করে। প্রথম প্রকল্পে ৩৬টি ফ্ল্যাট থাকলেও দ্বিতীয় প্রকল্পে ২৪টি ফ্ল্যাট তৈরি করে এপিক। দুই প্রকল্পের সমাপ্তির পর একই এলাকায় পাহাড় চূড়ায় ‘এপিক ক্রিসেন্ট’ নামে ৯ তলার আরেকটি টাওয়ারে ৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে এপিক। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ারে এসব ফ্ল্যাট বিক্রি করবে এপিক। ৬০ কাঠা ভূমিতে তিনটি প্রকল্পের সমন্বয়ে এপিক সোসাইটি বললেও অত্যুক্তি হবে না।
এ এলাকাকে ঘিরে এপিকের আরো পরিকল্পনার কথা জানিয়ে কোম্পানির পরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরাই প্রথম নাসিরাবাদ প্রপার্টিজে প্রকল্প নিয়েছি। পরবর্তীতে আমাদের অনুসরণ করে অনেকে প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং এখন পুরো এলাকাটি একটি আবাসিক জোনে পরিণত হয়েছে। এ জোনে নাগরিক সুবিধা বাড়াতে সুইমিং পুলসহ নানাবিধ সুবিধা সমন্বিতভাবে যুক্ত করা হচ্ছে।’
এদিকে এবারের রিহ্যাব ফেয়ারে এপিক প্রপার্টিজ ‘স্মার্ট হোম’ কনসেপ্ট নিয়ে এসেছে। এ বিষয়ে এপিক প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আবু সুফিয়ান বলেন, আবাসন শিল্পে এপিক প্রপার্টিজের দীর্ঘ ২৫ বছরের জার্নি। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে একটি স্মার্ট নগরী গড়ার অন্যতম অংশীদার এপিক। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের রিহ্যাব ফেয়ারে ‘স্মার্ট হোম’ অফার নিয়ে এসেছে এপিক প্রপার্টিজ। স্মার্ট সিটিতে এপিকের ফ্ল্যাটও হবে স্মার্ট ডিভাইসে নিয়ন্ত্রিত। ফ্ল্যাটের দরজা থেকে শুরু করে অভ্যন্তরের এসিসহ সবকিছুই হবে প্রযুক্তির। রিহ্যাব ফেয়ারে এপিকের ফ্ল্যাট কিনলে বা বুকিং দিলেই স্মার্ট ফ্ল্যাটের সুবিধা ফ্ল্যাট ক্রেতাকে সম্পুর্ণ বিনামুল্যে উপহার হিসেবে প্রদান করা হবে।
এবারের ফেয়াওে এপিক সবচেয়ে বেশি রেডি ফ্ল্যাট নিয়ে এসেছে। গ্রাহকরা চাইলে সম্পুর্ণ রেডি ফ্ল্যাট কিনতে পারবে। কালামিয়া বাজার এলাকায় এপিকের ‘এপিক নূর ল্যান্ড মার্ক’ নামের একটি প্রকল্প রয়েছে। এ প্রকল্পে আজই বসবাসের উপযোগী সবকিছু রয়েছে। এছাড়া নাসিরাবাদ প্রপার্টিজে ‘ক্রাউন রিজ-২, ফিরিঙ্গীবাজারে ‘এপিক ডি রিভারাইন’, কাতালগঞ্জে ‘এপিক সালেহ সাইলো’, চন্দনপুরায় ‘এপিক সুহান প্যারাডাইজ’ প্রকল্পেও রেডি ফ্ল্যাট রয়েছে।
এ বিষয়ে এপিক প্রপার্টিজের পরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ক্রেতাদের জন্য নগরীর বিভিন্ন লোকেশনে আমাদের রেডি ফ্ল্যাট রয়েছে। ফেয়ারে আসা দর্শনার্থীদের জন্য তা সহায়ক হবে। এছাড়া নতুন নতুন অনেক প্রকল্পও রয়েছে।’
ফেয়ারে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১৫টি প্রকল্পে ২ শতাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে এপিকের। লাক্সারিয়াস এবং প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির এসব ফ্ল্যাট উচ্চ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের আকৃষ্ট করবে। এপিক গত ২৫ বছরে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩২টি অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প সফল নির্মাণ এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হস্তান্তর করেছে। বর্তমানে এপিকের চলমান প্রকল্পের সংখ্যা ১৫টি। চট্টগ্রামের সবগুলো প্রাইম লোকেশনে রয়েছে এপিকের প্রকল্প। এর মধ্যে রয়েছে অভিজাত নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি, ইস্পাহানি হিলস খুলশী, বাদশা মিয়া রোড, কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা, এস এস খালেদ রোড, লালখান বাজার, ফিরিঙ্গিবাজার, পার্সিভ্যাল হিল, নবাব সিরাজুদৌল্লা রোড উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ঢাকা সিটির বসুন্ধরা আবাসিক, পশ্চিম রামপুরা এবং কারওয়ান বাজার এলাকায় রয়েছে এপিকের চলমান আবাসন প্রকল্প।
স্মার্ট হোম নিয়ে আসছে এপিক
নগরে আবাসন