কমরেড মেজবাহ উদ্দিনের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে সংগঠন কার্যালয়ে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঐদিন ‘মেজবাহ উদ্দিন স্মৃতি পাঠাগার’ এর উদ্বোধন করা হয়। স্মরণসভার শুরুতে কমরেড মেজবাহ উদ্দিনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক ও লাল সালাম জানিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
‘মেজবাহ উদ্দিন স্মৃতি পাঠাগার’ উদ্বোধন করেন মেজবাহ উদ্দিনের বড় বোন খুরশীদা জাফর। পার্টি জেলা সদস্য সচিব শফি উদ্দিন কবির আবিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় মেজবাহ উদ্দিনের জীবন ও সংগ্রামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন মেজবাহ উদ্দিনের বড় বোন খুরশীদা জাফর, গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় ইনচার্জ ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য সোমা, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র জেলা আহ্বায়ক আসমা আক্তার, আমিনুর রহমান।
সভা পরিচালনা করেন পার্টি জেলা কমিটির সদস্য জাহেদুন্নবী কনক।
হাসান মারুফ রুমি বলেন, ‘মেজবাহ উদ্দিনের মতো এমন কর্মী-সংগঠক আজকের এ কঠিন সময়ে বিরল। মাঠে ময়দানে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সংগঠন গড়ে তোলা, সাথে সাথে সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নানা বিষয়ে জ্ঞানচর্চা, পড়াশোনা-একই সাথে এ দুটো বিষয় সমন্বয় করায় আমাদের ঘাটতি হয়। মেজবাহ উদ্দিন এ দুইয়ের সমন্বয় ঘটাতে পেরেছিলেন। এ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’
সভায় দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বিপ্লবী রাজনীতির মহান আদর্শ মেজবাহ উদ্দিন নিজের জীবনে আবেগের সাথে ধারণ করার চেষ্টা করেছিলেন। ধারণ করতে গিয়ে নিজেকে উন্নত সংস্কৃতি ও চরিত্রের আঁধারে গড়ে তুলতে পেরেছিলেন এবং দলের নেতাকর্মী, সমর্থক, পরিবার, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব, পরিচিতদের উপর তার গভীর ছাপ ফেলতে পেরেছিলেন। দলের প্রয়োজনে তাঁর উপর যখন যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে অর্পিত দায়িত্ব পালনে তাঁর কখনো নিষ্ঠার ঘাটতি হয়নি।
বিপ্লবী রাজনীতির নানা চড়াই উৎড়ায়ে তিনি আদর্শ, রাজনীতি ও নেতৃত্বের প্রতি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিশ্বাস হারাননি। মেজবাহ উদ্দিন আজ আমাদের মাঝে আর নেই। কিন্তু তাঁর সংগ্রামী জীবন, উন্নত চরিত্র ও সংস্কৃতি, তাঁর অর্জিত গুণাবলী আমাদের সামনে আছে। তা আয়ত্ত্ব করার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে আরো নিবেদিত হওয়া এবং মেজবাহ উদ্দিনের স্বপ্ন পূরণ করার প্রতিজ্ঞা গ্রহণই হবে তাঁর প্রতি শ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধার্ঘ্য। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর