প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী »
বাঙালির সূর্যসন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা। তাঁর হাত ধরেই বাঙালি পেয়েছে একটি স্বাধীন ভূখ-, লাল সবুজের পতাকা এবং নিজ জাতিসত্তার পরিচিতি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা। ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত একটি দেশ, যারা বিশে^র বুকে আত্মমর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তিনি চেয়েছিলেন প্রকৃত অর্থেই ‘সোনার বাংলা’ তাই জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিতÑ ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।’
দেশটাকে তিনি ঠিক কোন অবস্থায় পেয়েছিলেন? ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের এই ভূখ- ছিল প্রকৃত অর্থেই পোড়ামাটি। সম্পদেও শূন্যতা, মেধা-বুদ্ধিতেও। কেননা একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, অন্যদিকে বিজয়ের প্রাক্কালে জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকা-। তাই তো বাংলার বুকের গভীর কন্দর থেকে ধ্বনিত হয়েছিল ‘সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের শ্মশান করেছে কে?/ এহিয়া তোমায় আসামির মতো জবাব দিতে হবে…।’
সামরিক জান্তা ইয়াহিয়ার হানাদার বাহিনী ‘পোড়ামাটি’ নীতি অবলম্বন করে আমাদের সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা বাংলাকে এমন ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল যে, বিশ^বাসী কখনো ভাবতেও পারে নি এ জাতি আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে। তাইÑতো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ অভিধায়। কিন্তু সকল কল্পনা-আশঙ্কা মিথ্যে প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশে^র এক অপার বিস্ময়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মের বছর বাংলা-ভারত খেলাফত অসহযোগ আন্দোলনে ছিল উত্থাল। কিছুদিন পর নজরুল ইসলাম লিখলেন বিদ্রোহী কবিতা। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে। বিদ্রোহ, প্রতিবাদ আর আন্দোলনের এমন প্রেক্ষাপটেই পিতা লুৎফর রহমান ও মা ছাহেরা খাতুনের ঘরে জন্ম নেওয়া সেদিনের খোকার বেড়ে ওঠা। শৈশব-কৈশোর থেকেই অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুজিব গরিব-অসহায়দের জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পাতায় পাতায় অকপটে বর্ণিত সেসব কথা। সাহস-দীপ্তিতে উজ্জ্বল মুজিবের মধ্যে নেতৃত্ব দেখেছেন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও এ কে ফজলুল হক। সেই থেকেই তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি। সোহরাওয়ার্দী বললেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর অভিষেক বেঙ্গল মুসলিম ছাত্রলীগের মাধ্যমে। পিতা বললেন রাজনীতি করো, তবে সততা ও নিষ্ঠা থেকে বিচ্যুত হবে না। “ঝরহপবৎরঃু ড়ভ চঁৎঢ়ড়ংব ্ ঐড়হবংঃু ড়ভ চঁৎঢ়ড়ংব” থেকে সরে যাবে না। বঙ্গবন্ধু কখনো পিতার সেই আদেশ থেকে বিচ্যুত হন নি।
দু’দশক আগে প্রথম বিশ^যুদ্ধ শেষ হয়েছে। ব্রিটিশরা তাদের উপনিবেশগুলো নিয়ে হিমশিম অবস্থায়। তারা উপনিবেশ গুটিয়ে ভারতের স্বাধীনতার কথা ভাবছে। একদিকে মুসলিম লীগের ‘ডিভাইড অ্যান্ড কুইট’ আর কংগ্রেসের ‘কুইট ইন্ডিয়া’ স্লোগান। ভারতের শাসনতান্ত্রিক রূপরেখা প্রণয়নের জন্য ১৯৪২ সালে ‘ক্রিপস মিশন’ ও ১৯৪৬ সালে ‘কেবিনেট মিশন’ পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে বাংলা ও বিহারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয়।যেটি ইতিহাসে ‘ক্যালকাটা রায়ট’ হিসেবে পরিচিত। হাজার হাজার হিন্দু-মুসলমান সেই দাঙ্গায় নিহত হয়। দাঙ্গা চলাকালেবঙ্গবন্ধু উভয় পক্ষের অসহায় মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।তিনি ভারত বিভক্তির প্রাক্কালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শরৎচন্দ্র বসু ও আবুল হাশিম প্রমুখের সাথে ‘অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা আন্দোলনে’ সম্পৃক্ত ছিলেন। দেশভাগের পর বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা শেখ মুজিব অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সেজন্য তাঁকে পাকিস্তান আমলে প্রথম কারাবরণ করতে হয়। বাংলার ভাটিয়ালী গানের প্রখ্যাত শিল্পী আব্বাস উদ্দীন বঙ্গবন্ধুকে ভবিষ্যত বাঙালির কা-ারি হিসেবে আখ্যা দেন। এসব ঘটনার বিবরণ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে উল্লেখ রয়েছে।
ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী মুসলিম লীগে রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর পথচলা। কারাগরে থেকে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন। ১৯৫৩ সালে সাধারণ সম্পাদক, যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ। পরবর্তীতে সাংগঠনিক দায়িত্বের জন্য মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন। ৬৬ সালে ‘ছয়দফা’ দাবি দিয়ে ক্যারিশম্যাটিক লিডারে পরিণত হলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবের জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছে। ৬৯ সালে ছাত্র-জনতার দাবির কাছে নতি স্বীকার করে পাকিস্তান জান্তা বঙ্গবন্ধুকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। শেখ মুজিব হয়ে ওঠেন ‘বঙ্গবন্ধু’। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতা অর্পণে গড়িমসি ও বাঙালি হত্যার ষড়যন্ত্র, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইট, গণহত্যা এবং ২৬মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা।অতঃপর দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়। পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নিল লাল-সবুজ পতাকার দেশ, বাংলাদেশ।
স্বাধীনতা অর্জনের পর পাকিস্তান কারাগারের বন্দিজীবন থেকে মুক্ত হয়ে১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন। তাঁকে বহনকারী ব্রিটিশ বিমানটি যখন ঢাকা বিমানবন্দরের আকাশে, তখন বঙ্গবন্ধু প্লেনের জানালা থেকে নিচে তাকিয়ে দখলেন, মাথা, কেবল মানুষের মাথাÑ অজ¯্র, অসংখ্য। বঙ্গবন্ধুর চোখে অশ্রু! তিনি বললেন “এতো মানুষের আহার আমি দেবো কোত্থেকে?” কিন্তু তিনি তো বঙ্গবন্ধু। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তাঁর অলৌকিক যাদুস্পর্শে অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যেই ভারতীয় বাহিনী ফিরে গেল নিজেদের দেশে। বিধ্বস্ত রেললাইন, কালভার্ট, সেতু, সড়ক মেরামত করে চালু করলেন যোগাযোগ ব্যবস্থা। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর সোভিয়েত সহযোগিতায় মাইনমুক্ত করলেন। জাতিকে এমন একটি সংবিধান উপহার দিলেন যা গুণে-মানে বিশে^র এক বিস্ময়। দেশবাসীর মৌলিক চাহিদাÑ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পুরো জাতিকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ‘সবুজ বিপ্লব’ কর্মসূচি গ্রহণ করলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক করলেন, যা ছিল যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক।
তখন জমি ছিল এক-ফসলা। সিংহভাগ খাদ্য কিনতে হতো নতুবা বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে হতো। কোষাগারও ছিল শূন্য। বঙ্গবন্ধু দৃঢ় মনোবল এবং অমিতি বিক্রমে গ্রহণ করলেন সমস্ত চ্যালেঞ্জ। বিশে^র প্রায় সমস্ত দেশের স্বীকৃতি আদায় করলেন। বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদও লাভ করলো বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিলেন বাংলায়, যা ছিল যুগান্তকারী ঘটনা। জোটনিরপেক্ষ দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশ মৈত্রী স্থাপন করল, হলো কমওয়েলথভুক্ত দেশ। তৎকালীন বিশে^র প্রধান নেতৃবৃন্দÑ ফিদেল ক্যাস্ত্রো, মার্শাল, টিটো, কামাল আবু নাসের প্রমুখের সাথে তাঁর তেজস্বী, সম্মোহনী ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন করলেন। বিশ্বনেতৃবৃন্দও বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ-বিমোহিত। বঙ্গবন্ধুর বন্ধু হয়ে তারা প্রত্যেকেই হাত বাড়িয়ে দিলেন সহযোগিতার।
বঙ্গবন্ধুর অনন্য কৃতিত্ব হলো, তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি হিসেবে গ্রহণ করলেন জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক সমাজের। এই লক্ষ্যেই তিনি অগ্রসর হচ্ছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানি প্রেতাত্মা ৭১’র পরাজিত শক্তি বসে রইল না। তারাও বিস্তার করতে লাগল ষড়যন্ত্রের জাল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছিলেন দুর্লভ চরিত্রের অকুতোভয় ব্যক্তি, যিনিস্পষ্ট ভাষায় উচ্চারণ করেছিলেনÑ“আমার অবস্থা যদি আলেন্দের মতোও হয় , তবুও আমি বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের পথ থেকে সরে দাঁড়াব না।”
অবশেষে এলো সেই কালরাত। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। দেশ পরিবর্তিত হলো মিনি পাকিস্তানে। ‘বাঙালি’ রূপান্তরিত হলো ‘বাংলাদেশি’ আর ‘বাংলাদেশ বেতার’ হলো ‘রেডিও বাংলাদেশ’। নিষিদ্ধ হলো ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। সমস্ত কিছুই খোলনলচে পাল্টে দিয়ে দেশটাকে নিয়ে গেল ৫০ বছর পেছনে। সামরিকতন্ত্রের বুটের তলায় পিষ্ট হলো শুভ-সুন্দর। জিয়া-এরশাদ-খালেদা পেরিয়ে দেশ অবশেষে বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনার হাত ধরে আশ^াস পেলো প্রার্থিত গণতন্ত্রের। জননেত্রী শেখ হাসিনার গণতন্ত্র মানে দেশের শনৈঃ শনৈঃ উন্নতি, কল্যাণ, সমৃদ্ধি।
১৯৯৬ সালে দেশ সঠিক পথে ফেরে বঙ্গবন্ধুরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করে ক্ষমতায় আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোÑ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধের বিচার, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত, মাথাপিছু আয় ২৮০০ মার্কিন ডলারের উপরে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশেরও উপরে, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, অসচ্ছল ও প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা, গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান, একজন মানুষও অনাহারে না থাকা। এর চেয়ে বড় গণতন্ত্র, মানবাধিকার আর কী হতে পারে? বাংলাদেশ এখন খাদ্য রপ্তানি করছে। মাছ ও সবজি রপ্তানিতে তৃতীয় ও পোশাকশিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান এখনবিশে^ দ্বিতীয়। দেশ আজ শতভাগ বিদ্যুতায়িত। গ্রামে বাড়ি বাড়ি কম্পিউটার। মানুষের গড় আয়ু ৭৪ বছর। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হারওবহুলাংশে কমেছে। সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল চলছে, একশত কিলোমিটারের অধিক দীর্ঘ পাইপলাইনে শরীয়তপুরে ডিজেল আসছে, আদানি বিদ্যুৎ জাতীয় সঞ্চালন কেন্দ্রে যুক্ত হচ্ছে। মৈত্রী পাইপলাইন দিয়ে উত্তরবঙ্গে ডিজেল ও গ্যাস আসছে। কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উন্নয়ন কার্যক্রম কিছুটা শ্লথ করলেও থামাতে পারেনি। জিডিপি, মাথাপিছু আয়, কৃষি ও শিল্পে উৎপাদন কমাতে পারেনি। বিশ^ব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করলেও পদ্মাসেতু নির্মিত হয়েছে নিজস্ব অর্থায়নে। কর্ণফুলীর নিচে বঙ্গবন্ধু টানেল আর ক’দিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে।
বঙ্গবন্ধু পোড়ামাটির দেশকে সোনার বাংলায় রূপ দিতে সংকল্পবদ্ধ ছিলেন, ঘাতকরা সেটি হতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর কাজ যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখানে থেকেই শুরু হয়েছে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ও মিশন। বঙ্গবন্ধু পোড়ামাটি পেয়েছিলেন, আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা ওই পোড়ামাটিকে রূপান্তর করছেন সোনার বাংলার সোনামাটিতে।
লেখক : প্রফেসর, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
সাবেক ডিন- কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ, চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয়
প্রাবন্ধিক ও গবেষক