নিজস্ব প্রতিবেদক »
দেশের বেশিরভাগ রোগী প্রতিবেশী দেশ ভারতে কার্ডিয়াক সার্জারি করাতে যান। সেখানে একজন রোগীকে কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ টাকা গুনতে হয়। সেই ব্যয়বহুল চিকিৎসাটি মাত্র ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে চট্টগ্রাম অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
এ সময় অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ওয়াহেদ মালেক বলেন, ‘চট্টগ্রামের রোগীরা কেনো উন্নত চিকিৎসা করাতে দেশের বাইরে যাবে- সে চিন্তা ভাবনা থেকে এই হাসপাতালের যাত্রা। এরপর কোভিডসহ নানা সংকট আমাদের পার করতে হয়েছে। পরে আমরা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ভারতীয় স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপোলো হাসপাতাল গ্রুপকে দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করি। এর একটাই লক্ষ্য দেশের রোগীরা যাতে উন্নত সেবা পান। আমরা চাই একটি সুন্দর পরিবেশে রোগী ভালো চিকিৎসা নিয়ে যাক। ভুল চিকিৎসা নিয়ে যাতে কারো মৃত্যু না হয়। অনেক রোগী ও তাদের স্বজনের অভিযোগ থাকে ডাক্তাররা সুন্দর মতো আচরণ করেন না, ভালো করে কথা বলেন না। এখন হাসপাতালে ৭৫ জন ডাক্তারের একটি ভালো টিম রয়েছে যেখানে আগে ছিলো মাত্র ২৫ জনের। আমরা চাই চট্টগ্রামের মানুষদের একটি সুন্দর স্বাস্থ্যসেবা উপহার দিতে।
হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আনন্দ এন রাও বলেন, ‘ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে ভালো সেবা দেওয়ার জন্য। চট্টগ্রামের অন্য হাসপাতালের চেয়ে এটা প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। তাই বাংলাদেশের মানুষের আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।’
হাসপাতালের কার্ডিয়াক কনসালটেন্ট সাইফুর রহমান সোহেল বলেন, ‘আমরা গত ৭ জুলাই প্রথম এখানে কার্ডিয়াক সার্জরি করেছি। সফল হয়েছি।। এরপর গতকাল বুধবার আরও একটি সার্জারি হয়েছে। সেটাও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের মধ্যেই এত কম টাকায় এতো ভালো চিকিৎসার নজির কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে একজন রোগী চিকিৎসা করাতে গেলে তাকে যেসব ওষুধ সাজেস্ট করা হয় ঠিক একই ধরনের ওষুধ এখানেও দেওয়া হয়। মেডিক্যাল সায়েন্স তো শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়। এটা বিশ্বের জন্যই। এটার প্রটোকল থাকে। নাম ভিন্ন হতে পারে ওষুধ কিন্তু এক।’
সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের চিফ নার্সিং অফিসার ডা. প্রকাশ কে এন, সান্তা রাণী সাহো, হেড অব বিজনেস ডেভেলবমেন্টের মানস মজুমদার, কার্ডিয়াক সার্জন সাখাওয়াত হোসেন শাকিল ও সিনিয়র অ্যানেস্থেসিওলজি পরামর্শক মাসুদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।