সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
ক্লাব ফুটবলের মতোই আন্তর্জাতিক ফুটবলেও সাড়া জাগিয়ে শুরু করলেন স্পেনের উদীয়মান তারকা আনসু ফাতি। জার্মানির বিরুদ্ধে স্পেনের জার্সি গায়ে সিনিয়র দলে আন্তর্জাতিক অভিষেক হলেও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নেশনস লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমবারের জন্য একাদশে শুরু করলেন বার্সেলোনার টিন-এজ স্ট্রাইকার। আর প্রথম একাদশে শুরুর দিনেই গোল করে তাক লাগালেন ফাতি।
শুধু তাই নয় স্পেনের ফুটবল ইতিহাসে কনিষ্ঠ গোলস্কোরার হিসেবে নজির গড়লেন ১৭ বছরের ফাতি। ভেঙে দিলেন জুয়ান এরাজকুইনের ৯৫ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯২৫ সালে ১৮ বছর ৩৪৪ দিনে গোল করে দেশের জার্সি গায়ে কনিষ্ঠ গোলস্কোরারের রেকর্ড এতোদিন আগলে রেখেছিলেন এরাজকুইন। রবিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ১৭ বছর ৩১১ দিনে প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করে রেকর্ডবুকে নাম তুললেন ফাতি। নেশনস লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে হারাল স্পেন। জোড়া গোল অধিনায়ক সার্জিও রামোসের, একটি করে গোল করলেন ফাতি এবং ফেরান তোরেস।
আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে এদিন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে দলের হয়ে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল রামোসের। যদিও গোলটির নেপথ্য নায়ক সেই ফাতি। বামপ্রান্তিক আক্রমণ ধরে বল নিয়ে আগুয়ান ফাতিকে বক্সে ফাউল করে বসেন এক বিপক্ষ ডিফেন্ডার। যা নজর এড়ায়নি রেফারির। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলে নিশানায় অব্যর্থ থাকেন অধিনায়ক রামোস। সাম্প্রতিক সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে স্পটকিক থেকে তার গোলের ধারাবাহিকতা দেশের জার্সি গায়েও বজায় রাখেন এই সেন্টার-ব্যাক।
২৯ মিনিটে ডেভিড ওলমোর ক্রস থেকে রামোসের বুদ্ধিদীপ্ত লুপিং হেডার খুঁজে নেয় গোলের ঠিকানা। এর ঠিক তিন মিনিট বাদেই নজির গড়েন ফাতি। বক্সের বাইরে বিপক্ষ এক ডিফেন্ডারকে ইনসাইড কাট করে নেওয়া তার দূরপাল্লার শট পোস্টে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। ৮৪ মিনিটে স্পেনের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধেরে একমাত্র গোলটি করেন ফেরান তোরেস। ম্যাচ শেষে ফাতিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন হেড কোচ লুইস এনরিকে। তার কথায়, ‘এই বয়সে ফাতির যা আত্মবিশ্বাস সেটা এককথায় অস্বাভাবিক। ওকে নিয়ে হাজার হইচই’য়ের মধ্যেও ও পরিণতবোধের পরিচয় দিয়ে নিজের লক্ষ্য অনুসরণ করছে।’
উল্লেখ্য, গিনি বিসাউ নামক পশ্চিম আফ্রিকার একটি ছোট্ট দেশে জন্ম ফাতির। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লক্ষ্যে ২০১৯ তাকে স্পেনের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। নেশনস লিগের প্রথম ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে তার সিনিয়র আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। ওই ম্যাচে তার আত্মবিশ্বাস ব্যাপক মনে ধরে লুইস এনরিকের। এরপরেই ইউক্রনের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ তাকে নামিয়ে দেন রামোসদের হেডস্যার। খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।