সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান ও আর্সেনাল

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে ২-২ গোলে ড্র করেছে ইন্টার মিলান। তাতে অবশ্য সেমিফাইনালে যেতে সমস্যা হয়নি তাদের। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে সেরা চারে জায়গা দখল করেছে ইতালিয়ান সিরিআর ক্লাবটি। অ্যাওয়ে লেগে বায়ার্নকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ইন্টার। ফিরতি লেগ যেহেতু নিজেদের মাঠে, তাই লিড ধরে রাখার বিষয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাস ছিল ইতালিয়ান ক্লাবটির। পরিকল্পনা অনুসারে ঘরের মাঠ সান সিরোতে অতিথি দল বায়ার্নকে ঘুরে দাঁড়াতে দেয়নি ইন্টার। তবে বার্য়ান লড়াই করেছে পূর্ণ শক্তি দিয়ে। কিন্তু সেটি যথেষ্ঠ হয়নি। সেমিতে ইন্টার মুখোমুখি হবে বার্সেলোনার, যাদেরকে তারা ২০১০ সালে সেমিফাইনালে হারিয়েছিল। ওই মৌসুমের ফাইনালে বায়ার্নকে হারিয়ে ট্রেবল শিরোপা নিশ্চিত করেছিল ইন্টার। সিমোন ইনজাগির দল এবারও সেই কীর্তি পুনরাবৃত্তির পথে হাঁটছে। এদিকে আগের দিনই আর্সেনাল কোচ মিকেল আরতেতা রিয়াল মাদ্রিদকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন প্রত্যাবর্তনের গল্প ভুলে যেতে। মাঠের খেলায় বাকি কাজও সেরে নিলেন তিনি। রিয়াল তো প্রত্যাবর্তন করতে পারলোই না, উল্টো হেরেই বসেছে গানাররদের কাছে। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রিয়ালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল আর্সেনাল। ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা ছিল রিয়াল সমর্থকদের। কিন্তু আর্সেনাল যে খেলা দেখিয়েছে, তাতে সমর্থকরা নির্বাক। দ্বিতীয় লেগে রিয়ালকে তাদেরই ডেরায় ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে জিতে ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে গেছে আর্সেনাল।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে সেরা চারে উঠেছিল গানাররা। অন্যদিকে ২০২০ সালের কোভিডের পর এই প্রথম ইউরোপের সর্বোচ্চ লিগ প্রতিযোগিতার সেমিতে উঠতে ব্যর্থ হলো রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন ও বর্তমান শিরোপাধারী রিয়াল। বুধবার রাতে খেলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে গর্জে ওঠে বার্নাব্যু স্টেডিয়াম। রিয়ালের হাজার হাজার দর্শক ইতিহাস গড়ার প্রত্যাশায় উজ্জীবিত ছিলেন।