চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশেনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরবাসীর ভালোবাসা আমাকে কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করেছে। প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পর নগরবাসী আমাকে যে মায়া-মমতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন তা কখনো শোধ করতে পারবো না। দায়িত্বের কারণে করপোরেশন ও জনস্বার্থে আমাকে অনেক সময় কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে। এজন্য নগরবাসী আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না। তিনি শহরের উন্নয়নের স্বার্থে নগরীর অধিবাসীদের পৌরকর পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়। কাজেই সেবা পেতে পৌরকর দিন ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে ফেলুন।
প্রশাসক গতকাল সোমবার দুপুরে বেপারী পাড়াস্থ আগ্রাবাদ সিটি করপোরেশন কমপ্লেক্স চত্বরে রাজস্ব সার্কেল-৭ এর স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর কর্মকর্তা (কর) জসীম উদ্দীন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর প্রার্থী মোহম্মদ হোসেন, জাফরুল হায়দার সবুজ, উপ কর কর্মকর্তা (লাইসেন্স) কৃষ্ণ প্রসাদ দাশ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, শহরের মালিক নগরীর ৬০ লাখ অধিবাসী। নাগরিকদের অধিকার রয়েছে চসিকের সেবা পাওয়ার। আমি চেষ্টা করেছি নগরকে পরিচ্ছন্ন, মানবিক ও পরিবেশবান্ধব রাখতে। তিনি বলেন,রবাজার খরচ, বিদ্যুৎ-পানি পেতে বিল দিতে হয়। তাহলে পৌরকর ছাড়া কিভাবে নাগরিকসেবা দেয়া সম্ভব? করপোরেশন কোন ধরনের কর বাড়ায়নি। পূর্বের রেটে পৌর কর নিচ্ছে। ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স নেয়া যাবে। আশা করি নগরবাসী ও ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ গ্রহণ করবেন।
প্রশাসক নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে বন্দর, কাস্টমস্, রেলওয়েসহ অন্যান্য বড় শিল্প কারখানার কাছ থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দাবি করে বলেন, কাস্টমস চট্টগ্রাম শহর থেকে বছরে ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকার আয় করে। বন্দরেও হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করে। অপরদিকে, নগরের বেশির ভাগ জায়গা রেলের দখলে। অধিগ্রহণ ও লিজের নামে এসব জায়গা বছরের পর বছর দখলে রেখে কোন উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে না। আর তাদের এসব জায়গা জমির অনেকগুলোই এখন গুন্ডা মাস্তানের দখলে। করপোরেশন রেলের একটি জায়গা নিতে দুটো ইনস্টলমেন্ট পরিশোধ ও উচ্চ আদালতের রায় পাওয়ার পরও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো তা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এভাবে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী এই শহরের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। যে কারণে এখানে ট্যানেল, উড়াল সেতু, শিল্প জোনসহ বিবিধ উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি নগরের উন্নয়নের স্বার্থে যেকোন সংস্থাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন। বিজ্ঞপ্তি
এ মুহূর্তের সংবাদ