সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ, আহত ৮

চান্দগাঁও

নিজস্ব প্রতিবেদক »

নগরীর চান্দগাঁও থানার বলিরহাটে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণের ঘটনায় আটজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার দিবাগত রাতে বলিরহাট মকবুল হাজীর বাড়ির পাশে দুই বাড়িতে একইসাথে দুইটি বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন লাবণী (১০), মহিম (১০), রীনা আক্তার (১৬), মো. হৃদয় (১৭), জোছনা আক্তার (১৮), ডলি আক্তার (৩৫), নূরনাহার খাতুন (৫০) ও মামুনা আক্তার (৬০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার এসআই মোহাম্মদ রিদুয়ান। তিনি বলেন, ‘সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়ে আটজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে উদ্ধার কার্যক্রম শেষ করেছে।’

মকবুল হাজী বাড়ির মো. সাইফুদ্দিন বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) রাত তিনটার সময় বিকট দুইটি শব্দ হয়। এতে রুম থেকে বের হয়ে দেখি তিনটা বাড়ির দেয়াল পড়ে গেছে। এতে আগুনে আটজন আহত হন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) চিকিৎসা করিয়ে বাসায় আনা হয়েছে। ধারণা করা যায় কমপক্ষে ১৮ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. বাহাউদ্দিন বলেন, ‘বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আমরা সকাল নয়টায় বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়দের সূত্রে জানতে পারি সেফটি ট্যাংকে দীর্ঘদিনের গ্যাস জমে থাকার কারণে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে।’

গ্যাস সংযোগের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিভিউশন (কেজিডিসিএল) এর ব্যবস্থাপক তরনী কান্তি সূত্রধর বলেন, ‘আমরা বিস্ফোরণের ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে দুই বাড়িতে দুইটি সেফটি ট্যাংক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একটি সেফটি ট্যাংকের কোন রিলিফ পয়েন্ট ছিলো না। এবং অন্যটির রিলিফ পয়েন্ট থাকলেও তা জ্যাম ছিল। এছাড়া সেফটি ট্যাংকগুলোতে ম্যানহোল ছিল না। যার ফলে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এতে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের বড় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কতৃপক্ষ গ্যাস বন্ধ রাখতে বলায় আমরা গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখেছি। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করা হবে।’