ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক নিষিদ্ধ
ভোগান্তিতে পর্যটকরা
নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ :
পরিবেশ অধিদফতরের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন ছেঁড়াদ্বীপে যেতে নিষেধ করার প্রতিবাদে রোববার সকাল থেকে সেন্টমার্টিনে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। তবে শনিবার দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে রাতযাপন করা দুই হাজারের বেশি পর্যটক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এ ধর্মঘটের একাত্মতা ঘোষণা করেছেন সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতি, স্পিডবোট, গামবোট, ইজিবাইক (টমটম), ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল, দোকানপাট, বাজার কমিটি, হোটেল-কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয় জনসাধারণ। বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে রয়েছে।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সেন্টমার্টিন ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু পর্যটক আমাদের অগোচরে সেখানে যেতেন। এখন কড়াকড়ি আরোপ করায় আর কোনো পর্যটককে ছেঁড়াদ্বীপে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের দাবি, সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা সাড়ে ১০ হাজার মানুষের বসবাস করে। জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন এলাকায় আরো ৪ হাজার মানুষ বসবাস করছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে। সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষের আয়-রোজগারের একমাত্র খাত হলো পর্যটন মৌসুম। বছরের চার মাস দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের পরিবহন করে আয়-রোজগারের মাধ্যমে সংসার চালাচ্ছেন। কোস্টগার্ড কর্তৃক সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপে যেতে নিষেধ করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনসহ স্থানীয় জনসাধারণ।