দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে আগুনে তিনটি রিসোর্টের ২৬টি কক্ষ পুড়ে যাওয়ার ঘটনার পর দ্বীপের হোটেল-মোটেলগুলোর অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দ্বীপে বিভিন্ন মানের আড়াই শ আবাসিক প্রতিষ্ঠান থাকলেও কয়েকটি ছাড়া বাকিগুলোর অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা নেই। তাদের তো নেই-ই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো সরকারি ব্যবস্থাও।
কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনের গলাচিপা এলাকায় গত মঙ্গলবার গভীর রাতে তিন ইকো রিসোর্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে তিনটি ইকো রিসোর্টের ২৬টি কক্ষ পুড়ে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিসোর্টের মালিকরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, হোটেল শায়রীতে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়। হোটেলের নিরাপত্তা কর্মীর ভুলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দ্বীপে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় আগুনে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। তার পরও দ্বীপের বাসিন্দারা বালি আর পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে বিজিবি, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে।
এক হোটেল মালিক জানান, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ আগুনে শায়রী, বিচ ভ্যালি ও কিংশুক রিসোর্ট পুড়ে গেছে। তবে কোনো পর্যটক ও স্থানীয় কেউ হতাহত হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য উন্নত মানের কোনো যন্ত্র না থাকায় ক্ষতি বেশি হয়েছে।
এই দ্বীপ নিয়ে, এই দ্বীপের পরিবেশ রক্ষা নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হয়েছে। বিগত সরকার এবং বর্তমান সরকারের সময়েও নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই দ্বীপের প্রকৃতি ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় বর্তমান উপদেষ্টা নানা নির্দেশনা দিয়েছেন। পর্যটকের সংখ্যাও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হয়েছে কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর জানা গেল সেখানে মানুষ ও সম্পদ বাঁচাতে ন্যূনতম অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। যেভাবে, যখন আগুন লেগেছে এবং যত দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়েছে তাতে ভাগ্য ভালো কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে আগামীতে যে ঘটবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়?
কাজেই সেন্ট মার্টিনে অতি দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা জরুরি।