সুপ্রভাত ডেস্ক :
ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছে। বলিউডের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী বিভিন্ন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার তিনি গ্রেপ্তার হলেন।
মি. রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে মাদকের বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই রিয়া চক্রবর্তী, তার পরিবার এবং সুশান্ত সিং রাজপুতের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে জেরা করা হচ্ছিল।
এর আগে, একই ঘটনায় গত শনিবার মিজ চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী এবং মি. রাজপুতের প্রাক্তন হাউস ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো এছাড়া আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদক কারবারীর অভিযোগে।
রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করার আগে রবিবার থেকেই তাকে রোজ জেরা করা হচ্ছিল।
মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর উপ-পরিচালক কে পি এস মালহোত্রাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এ এন আই মিজ চক্রবর্তীর গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেছে।
তাকে যে গ্রেপ্তার করা হতে পারে, তা আন্দাজ করছিলেন মিজ চক্রবর্তীর পরিবার এবং তার উকিল।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও তার পরিবার অভিযোগ করে আসছে যে রিয়া চক্রবর্তী এবং তার পরিবার ওই মৃত্যুর জন্য দায়ী।
মুম্বাই পুলিশ এবং বিহার পুলিশ (যে রাজ্যে সুশান্ত সিংয়ের পরিবার বসবাস করে) – এই দুই বাহিনীর মধ্যে তদন্ত নিয়ে টানাপোড়েন চলে এবং অবশেষে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সি বি আই)-কে তদন্তের ভার দেওয়া হয়।
ওই তদন্তে যোগ দেয় অর্থ দপ্তরের তদন্ত শাখা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কারণ মি. রাজপুতের পরিবার অভিযোগ করেছিল যে তার মৃত্যুর পরে প্রায় ১৫ কোটি টাকা সরিয়ে ফেলেছেন রিয়া চক্রবর্তী।
কলকাতা থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী জানাচ্ছেন, এই তদন্ত করতে গিয়েই জানা যায় যে মাদক কারবারীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল রিয়া চক্রবর্তী এবং তার ভাইয়ের। তখনই মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোকে তদন্তের এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তারা প্রাথমিক ভাবে জানতে পারে যে, সুশান্ত সিং রাজপুতের কাছে গাঁজা এবং মাদক পৌঁছানো হতো।
কারা ওই নিষিদ্ধ পদার্থ যোগান দিত, সেই খোঁজ করতে গিয়েই মাদক কারবারীদের পাওয়া যায় এবং অবশেষে রিয়া চক্রবর্তীর পরিবারের দিকেও নজর পরে তদন্তকারীদের।