সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
‘সুপার ফিট’ অস্ট্রেলিয়া দল সীমিত ওভারের সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অজি কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। করোনাভাইরাসের মধ্যেই গেল মার্চের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আবারো ক্রিকেটে ফিরছে অস্ট্রেলিয়া। পার্থ থেকে সরাসরি ফ্লাইটে ইংল্যান্ডে পৌঁছায় ২১ সদস্যের অস্ট্রেলিয়া দল। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডার্বিতে পৌঁছে আইসোলেশনে আছে ক্রিকেটাররা। আইসোলেশন থাকাকালীনই অনুশীলনের অনুমতি পাবেন ক্রিকেটাররা। এরপর নিজেদেও মধ্যে চারটি অনুশীলন ম্যাচও খেলবেন তারা। প্রায় ছয় মাস পর ২২ গজে খেলার সুযোগ হবে স্মিথ-ওয়ার্নারদের।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে জৈব-সুরক্ষার মধ্যেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে সফর শুরু হবে। সাউদাম্পটনে হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবগুলো ম্যাচ। টেস্ট দিয়ে এরইমধ্যে ক্রিকেটে ফিরেছে ইংল্যান্ড। গেল ৮ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে মাঠে ফিরে ইংলিশরা।
সংক্ষিপ্ত ভার্সনের পর ম্যানচেস্টারেই অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার তিন ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ। স্বাভাবিকের চেয়েও বড় একটি স্কোয়াড সাজিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে থাকাকালিন অন্য কোন খেলোয়াড়কে দলে নিতে পারবে না তারা। অনুশীলন ম্যাচের জন্য তাদের পর্যাপ্ত খেলোয়াড় আছে বলে মনে করেন ল্যাঙ্গার।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইংল্যান্ডে যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভালো কিছুম্যাচ খেলতে পারি সে জন্যই ২১ সদস্যের দল গঠন করেছি। ছেলেরা কৌশলগত অনেক কাজ করেছ। ইংল্যান্ড পৌঁছানোর আগেই তারা সুপার ফিট। আমরা সরাসরি অনুশীলন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। আমরা ছেলেদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি, যাতে খেলা শুরু করতে পারে এবং আমরা সেটাই আশা করছি। কারণ আমাদের সঙ্গে ২১ জনই ফিট খেলোয়াড় এসেছে। যাতে আমরা অনুশীলন ম্যাচের মধ্যে থাকতে পারি’।
অধিনায়ক আ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে থাকছেন স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন।
ল্যাঙ্গার বলেন, দলের সঙ্গে একজন ক্রীড়া মনোবিজ্ঞানী আছেন। জৈব-সুরক্ষার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে যাতে খেলোয়াড়দের কোন সমস্যা না হয় সেটা দেখবেন মনোবিজ্ঞানী’। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
খেলা