নিজস্ব প্রতিবেদক »
নিষেধাজ্ঞার পরও গড়ে তোলা হয় সীমানাপ্রাচীর, দেওয়া হয় মজবুত গেট। থরে থরে সাজানো হয়েছে বাগান। কিন্তু সবই গড়া হয়েছে অবৈধভাবে মির্জা খাল দখল করে। জলাবদ্ধতামুক্ত নগর গড়তে খাল উদ্ধারে নেমেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। সেই অভিযানে এমন অবৈধ সৌন্দর্য গুঁড়িয়ে দিয়ে ৩শ’ ফুট খাল উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার নগরের ষোলশহর ওয়ার্ডের জীবন মিস্ত্রীর মোড় থেকে থেকে নুরনগর হাউজিং সোসাইটি পর্যন্ত মির্জা খালের উপর গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে চসিক। এরআগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি টানা ৮ ঘণ্টার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে চসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী সুপ্রভাতকে বলেন, ‘মির্জা খাল উদ্ধারে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালানো হয়েছে। পূর্বের অভিযানে দখলদারদের অবৈধ দখল ছেড়ে দিয়ে নতুন স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সেসময় আটকের পর মুচলেকা নেয়া হয় দখলদার মো. মইন শাহরিয়ারের কাছ থেকে। কিন্তু তিনি চসিকের নির্দেশনা অমান্য করে সীমানাপ্রাচীর গড়ে লাগিয়েছে মজবুত গেট। বসিয়েছেন ফুলের টব।’
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানের শুরুতে সকাল ১১টার দিকে তালাবদ্ধ গেট ভেঙে প্রবেশ করতে হয় মির্জা খালের উপর গড়া অবৈধ স্থাপনায়। এরপর ৩শ’ ফুটের খালের উপর গড়া স্লেব ও বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগের অভিযানে প্রায় ৭০ ফুট অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
এর আগে চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী অবৈধ খাল দখলদারদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জনগণের সম্পত্তি খাল যারা অবৈধভাবে দখল করেছে তারা যেন স্বেচ্ছায় সরে যান। নইলে বুলডোজার চালানো হবে। প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা লাঘবে ও খালগুলোর চিরচেনা রূপ পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।’
অভিযানে পরিচ্ছন্ন কর্মী, পুলিশ, আনসার বাহিনী সহায়তা করে।