সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রামে রাতের আঁধারে গোপন কক্ষে সিলিন্ডার গ্যাস জালিয়াতির অভিনব ঘটনা ধরা পড়েছে। কোম্পানির সরবরাহ করা সিলিন্ডার থেকে গ্যাস চুরি করে সেখানে পানি-হাওয়া ভরে বিক্রি করেন পরিবেশক।
কারসাজির অভিযোগ পেয়ে গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ঝটিকা পরিদর্শনে যান একাধিক এলপিজি গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। হাতেনাতে পান থার্মোসিল, ক্যাপ, হিট গান, ক্রস ফিলিং সরঞ্জামসহ গ্যাস চুরির প্রমাণ।
হালিশহর বড়পোল এলাকার এলপিজি গ্যাস পরিবেশক মূলত রাত হলেই দোকানের পাশে এই গোপন কক্ষে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস চুরি করতেন । খালি সিলিন্ডারে ভরে রাখতেন পানি ও বাতাস।
এলপিজি কোম্পানির ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, অবৈধ গ্যাস পরিচালনার জন্য যেসব মেশিন-সরঞ্জমপত্র ব্যবহার করা হয়। সেগুলো আমরা এখানে পেয়েছি এবং জব্দ করেছি ১০ টি মেশিন। সিল ক্যাপ লাগানোর জন্য যেসব হিটিং মেশিন ব্যবহার করা হয়। সেগুলোও এখানে পাওয়া গেছে।
এলপিজি কোম্পানির সিনিয়র ম্যানেজার মামুন হোসেন বলেন, প্রত্যেকটা সিলিন্ডারে সিল ক্যাপগুলো উল্টো করে লাগানো ছিল। এখানের পরিবেশক তিনি সরাসরি স্বীকার করছে যে, এগুলো সব অবৈধ ক্রস ফিলিংয়ের তৈরি।
এ ছাড়াও চট্টগ্রামে আরও অনেক দোকানেই চলে এমন প্রতারণা। সিলিন্ডারে গ্যাস কম, পানি ও হাওয়া বেশি, ফলে ঠকছেন ক্রেতারা।
একজন ক্রেতা বলেন, পরিবেশকরা গ্যাস কম দেয়, এটা আমরা অনেকসময় ধরতে পারিনা। আবার ওরা যে গ্যাস দেয়, সেটা মেপেও নিতে পারিনা।
এলপিজি কোম্পানির ডিজিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, এক সিলিন্ডার থেকে আরেক সিলিন্ডারে ফিলিং করতে গিয়ে এইটার ভেতরে যে গ্যাস কিট আছে অথবা সেটার মধ্য যে ভাল্ব আছে, সেটাকে নষ্ট করে ফেলে। এই সিলিন্ডারটা যখন কোনো ক্রেতা নিয়ে যায় তখন রেগুলেটর থেকে লিক করে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।