সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত করা এবং রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়ার উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে ঢাকা থেকে ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের’ রোড মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
শনিবার (২৮ জুন) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে রোড মার্চটি বন্দর ভবনের সামনে পৌঁছায়। খবর বিডিনিউজের।
রোড মার্চে রয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজসহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতা।
গত ২১ জুন ঢাকায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে আছেন দেশের বিভিন্ন বামপন্থি সংগঠনের নেতা।
‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’-এর দাবির মধ্যে আরও রয়েছে-স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ‘সা¤্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে’ জড়ানোর চেষ্টা বন্ধ করা।
গত শুক্রবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হওয়া এ রোড মার্চে অর্ধশতাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের ছয় শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নিচ্ছেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
পরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে রোড মার্চে অংশগ্রহণকারীরা। সেখান থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কুমিল্লার টাউন হল ময়দানে সমাবেত হন তারা।
সেখানে সমাবেশ শেষে রোড মার্চে অংশগ্রহণকারীরা শুক্রবার রাত ১১টায় ফেনী এসে পৌঁছেন।
গতকাল শনিবার সকালে রোড মার্চের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর হাজারী রোড মোড় থেকে মিছিলের মাধ্যমে।
মিছিলটি মহিপাল হয়ে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, ট্রাংক রোড, দোয়েল চত্বর, খেজুর চত্বর, প্রেসক্লাব, বড় মসজিদ, সেন্ট্রাল হাই স্কুল হয়ে দাউদপুর ব্রিজ অতিক্রম করে। এরপর রোড মার্চে অংশগ্রহণকারীরা পরিবহনে চড়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
মিরসরাই ও সীতাকু-ে পথসভা করার পর বিকালে রোড মার্চ নগরের বারিক বিল্ডিং মোড়ে এসে জড়ো হয়। সেখান থেকে বন্দর ভবন অভিমুখে যাত্রা করে রোড মার্চ।
রোডমার্চে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগান-সংবলিত প্ল্যাকার্ড। এসবের মধ্যে কর্মসূচির মূল স্লোগান ‘মা মাটি মোহনা, বিদেশিদেও দেব না’ ছাড়াও রয়েছে ‘বন্দর-করিডর, বিদেশিদের দেব না’, ‘চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া চলবে না’, ‘মার্কিন কোম্পানি স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল কর’, ‘জাতীয় স্বার্থবিরোধী সকল অসম চুক্তি বাতিল কর’, ‘ইন্টেরিম সরকার, সা¤্রাজ্যবাদের পাহারাদার’, ‘মার্কিন ভারতসহ সকল সা¤্রাজ্যবাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ প্রভৃতি স্লোগান।