সুপ্রভাত ডেস্ক »
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, দেশকে ‘অস্থিতিশীল করতে’ একটি বিশেষ মহল সাম্প্রদায়িক বিষয়কে ‘চাঙ্গা করছে’। সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে অপপ্রচার রোধে সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কথা বলছিলেন উপদেষ্টা। এ সময় ৫ অগাস্টে সরকার পতনের পর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর-মন্দিরে হামলা এবং মাদ্রাসা মসজিদ দখলে নেওয়ার চেষ্টার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এই উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী প্রধান বলেছেন, ২০ জেলার ২৩ জায়গায় এরকম আক্রমণ হয়েছে। যারা উপসানালয়ে হামলা করে বা আমাদের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ভাইদের ঘর আক্রান্ত করে, আমরা এদেরকে ক্রিমিনাল মনে করি এবং দিজ ক্রিমিনালস উইল বি পানিশড বাই দ্য এক্সিসটিং ল। “আরেকটা কথা বলি, যতটুকু বলা হচ্ছে। বিবিসি একটা রিপোর্ট করেছে, একটা বিশেষ মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এই ইস্যুটাকে চাঙ্গা করছে। একটা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। আমরা অত্যন্ত সচেতন।”
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জায়গা বর্ণনা করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান-মুসলমানরা আমরা একই আইনের অধীনে পরিচালিত হই। আমার যেমন অধিকার আছে, একজন হিন্দু, বৌদ্ধ ভাইয়েরও সেই অধিকার আছে। আমরা অধিকারটা এক্সারসাইজ করতে চাই। আমরা কোনোদিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়, এমন সুযোগ দেব না। আমার মন্ত্রণালয় আপনাদের সাথে আছে।”
খালিদ হোসেন বলেন, “আমি আজকেও (গতকাল) সার্কিট হাউজে হিন্দু ভাইদের সাথে কথা বলেছি। আমরা তাদেরকে অ্যাসিওর করেছি, কোনো ধরণের ডিসক্রিমিনেশন হবে না। নাগরিক অধিকার প্রত্যেকে সমানভাবে পাবে।” আন্দোলনে আহত ৩০ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আহতদের মধ্যে তিন-চারজন আইসিইউতে আছেন। আহতদের চিকিৎসার ভার সরকার নিয়েছে। প্রয়োজনে বিদেশেও পাঠানো হবে। “আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন আহতদের নগদ সহায়তা দিচ্ছে। প্রায় পাঁচ কোটি ্ন টাকা তারা ইতিমধ্যে দিয়েছে। এখানে আজকেও যে ৩০ জনের মত আছে, আমরা আজকেই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহায়তা করব। ১৫-২০ লক্ষ টাকা দেব।”
সরকারের পক্ষ থেকে আহত-নিহতের সংখ্যা নথিভুক্ত করতে একটি ফাউন্ডেশন করা হবে বলেও জানিয়েছেন খালিদ হোসেন। এ সময় উপদেষ্টার সাথে থাকা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আহতদের নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের স্বাবলম্বী করতে ফাউন্ডেশন কাজ করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম এ সময় ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন। খবর বিডিনিউজের।