নিজস্ব প্রতিবেদক »
এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় সাবেক পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) জি এম মিজানুর রহমানের জামিন আবেদন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ জেলা দায়রা জজ ফেরদৌস আরা এ নির্দেশ দেন।
আদালতসূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি শুনানির তারিখে সময় প্রার্থনার আবেদন করে ওসি মিজানুর আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। শুধু তা নয় এরপর ১২ আগস্ট আবারো শুনানির তারিখ থাকলে এতেও তিনি উপস্থিত না হয়ে সময় প্রার্থনা করেন। প্রতিবারের মত রোববার আদালতে উপস্থিত না হয়ে অসুস্থতাজনিত কারণ দেখান। এতে আরো উল্লেখ করা হয়, তিনি ঢাকা থেকে অসুস্থতা জনিত কারণে আসতে না পারায় সময় প্রার্থনার আবেদন জানান আদালতে। কিন্তু আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
বাদিপক্ষের আইনজীবী মুজিবুর রহমান ফারুক সুপ্রভাতকে বলেন, ‘পূর্বের শুনানি তারিখে সাবেক ওসি জি এম মিজানুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আজও তিনি শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিজ্ঞ আদালত।’
মামলার বাদি হুমায়ুন কবির সুপ্রভাতকে বলেন, ‘ এ মামলা ১০ বছর ধওে চলছে। কিন্তু এখনো বিচার প্রক্রিয়া চলমান। আজ (রোববার) আদালত কর্তৃক শুনানির তারিখ থাকলেও আসামি সাবেক ওসি মিজানুর সময় চান। কিন্তু এ বিষয়ে আদালত নারাজি প্রকাশ করে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছে। এর আগে আরো দুটি শুনানির তারিখে তিনি উপস্থিত ছিলেন না।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১২ জুলাই নগরীর ফয়’স লেক এলাকা থেকে এক কলেজ শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুকে তুলে নিয়ে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) জিএম মিজানুর রহমান। এরপর মেয়েটিকে নগরীর চকবাজারে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান ওসি মিজান। একইদিনে তিনি আরো তিন মেয়েকে একই হোটেলে ভাগ্নি পরিচয়ে রাখেন। কলেজ শিক্ষার্থীর বন্ধুকেও অন্য এক রুমে আটকে রাখা হয়। সারারাত তার এমন কর্মকাণ্ডের পর সকালে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় পরের দিনই মেয়ের বাবা হুমায়ুন কবির বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ওসি মিজানসহ তিনজনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেন। বাকি দুই আসামি হোটেলের কর্মচারী।
ঘটনার পর প্রায় সাড়ে তিনমাস পলাতক থাকা ওসি মিজানুর রহমান ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। উচ্চ আদালতের আদেশে ২০১২ সালের জুলাই মাসে তিনি জামিনে মুক্তি পান। তাছাড়া ওসি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পরই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
সাবেক ওসির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
কলেজছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা মামলা